শুভাপ্রসন্নর মন্তব্যে তোলপাড় বঙ্গ রাজ্য রাজনীতি। শুধু তাই নয়, গেরুয়া শিবির থেকেও এই ইস্যুতে তৃণমূলকে বিদ্ধ করার চেষ্টা যে চলছে না তাও নয়। এই পরিস্থিতিতে ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করতেই দেখা গেল শুভাপ্রসন্নকে। চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন জানান, ‘ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। এখন আমরা কথা বলে মীমাংসা করে নিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে নতুন করে কিছু বলতে চাই না।’ তাঁর সংযোজন,’প্রত্যেকেই স্বাধীন। আমার যা বলার ছিল বলেছি। ওঁদের যা বলার ছিল বলেছেন। কেউ একটু বেশি বলেছেন। কেউ কম। তবে আমার আর বিষয়টি নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই। ব্যাপারটা আর বাড়াতে চাই না।’
এ ব্যাপারে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, ‘শুভাদা আমাকে ফোন করেছিলেন। ওঁর আর্টস একরে যাব যাব করেও যাওয়া হয় না। আমন্ত্রণ করেছেন। নিশ্চয়ই যাব।’এরপরই স্বাভাববিক ভাবে প্রশ্ন ওঠে তাহলে কি পুরনো অবস্থান থেকে সরে এলেন কুণাল কি না তা নিয়ে। এই প্রসঙ্গে অব্শ্য তৃণমূল মুখাপাত্র জানান, ‘আমার অবস্থান একই আছে। শুভাদার খুঁচিয়ে ঘা করা ঠিক হয়নি। উনি সিনিয়র মানুষ। হয়ত অনুভব করেছেন ওঁর কথার ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে।’ সঙ্গে এও জানান, মুখ্যমন্ত্রী ভাষা দিবসের মঞ্চে দাঁড়িয়ে সবটা ব্যাখ্যা করে দেওয়ার পরও শুভাদা নতুন করে যেহেতু আবারও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন, তাই আমি বিরক্তি প্রকাশ করেছিলাম।’ কুণাল আরও বলেন, ‘এটা তো লাগাতার ঝগড়ার বিষয় নয়। শুভাদা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে ব্যাপারটা অন্য দিকে চলে যাচ্ছে। ওঁর কথার ভুল ব্যাখ্যা দাঁড়াচ্ছে। তাই হয়ত ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নিতে চাইছেন। আমি আগ বাড়িয়ে অবশ্যই ঝগড়া করব না।’