কলকাতা: জয়েন্ট এন্ট্রান্সের র্যাঙ্ক পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনই অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে নিজেই বিপাকে পড়লেন মামলাকারী পড়ুয়া।
বুধবার এই মামলা ওঠে বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে। মামলাকারীর অভিযোগ শুনে বিচারপতি জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন কেন এই মামলায় সিবিআই তদন্ত দেওয়া হবে না? আইনজীবী পাল্টা আদালতকে জানান, পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্রে থাকা কিউ আর কোড স্ক্যান করে তাঁর র্যাঙ্ক দেখতে অনুরোধ করেন। জানান, উত্তরপত্রে পরীক্ষার্থীর হস্তাক্ষর রয়েছে। সেটি নকল হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
এজলাসে বসেই নিজেই স্মার্টফোনে কিউআর কোড স্ক্যান করেন বিচারপতি চন্দ। নিশ্চিত হতে, আইনজীবীর ফোন থেকেও স্ক্যান করানো হয় কিউআর কোড। আর তাতেই দেখা যায় ওই পড়ুয়ার দাবি মিথ্যে। জয়েন্ট এন্ট্রান্স দেওয়া ওই পড়ুয়া আদালতে দাবি করেছিলেন, রেজাল্ট বেরোনোর পর কিউআর কোড স্ক্যান করে তিনি প্রথমে নিজের যে র্যাঙ্ক দেখেছিলেন, তা দিন কয়েক পরে হঠাৎ বদলে যায়। প্রথমে ওয়েবসাইটে নিজের র্যাঙ্ক দেখেন জিএমআর বা জেনারেল মেরিট র্যাঙ্ক ছিল ১৬ এবং পিএমআর বা ফার্মাসি মেরিট র্যাঙ্ক ছিল ২৪। কিন্তু পরে তিনি যখন আবার নিজের র্যাঙ্ক পরীক্ষা করেন তখন দেখা যায় তার জিএমআর হয়েছে ১৪৩৯ এবং পিএমআর ৩২৮৫। এই বদল কী করে হল, তা জানতে চেয়েই হাইকোর্টে এসেছেন তিনি।
প্রথম দিকে, সব ঠিক থাকলেও কিউ আর কোড স্ক্যান করে দেখা যায়, মামলাকারীর দ্বিতীয় র্যাঙ্কটি সঠিক। বিচারপতির প্রশ্নের মুখে ভয় পেয়ে যান ওই পড়ুয়া। স্বীকার করেন, তিনি মিথ্যে মামলা করেছেন। যাবতীয় নথি ডাউনলোড করে জাল করেছেন। সব দেখেশুনে বিস্মিত বিচারপতি। তবে পড়ুয়া বলেই এ যাত্রায় তাঁর ভুল শোধরানোর সুযোগ দিয়েছে হাইকোর্ট। মামলা খারিজ হয়েছে। তবে পড়ুয়াকে কোনও শাস্তি দেয়নি আদালত।