সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর চর্চা, তিনদিক খোলা বাস স্ট্যান্ড তৈরিতে খরচ ১০ লক্ষ টাকা, এত খরচ কিসের?

বুধবার, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টকে ঘিরে দুর্গাপুরের রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের পেজে পোস্টটি করেছেন অভিষেক পাল নামে এক ব্যাক্তি। তিনি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে পোস্টে লিখেছেন, আমাদের সবার কাছে গর্বের বিষয় আমাদের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড করঙ্গপাড়া-পিসিবিল রোড সংলগ্ন এলাকায় প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়াল ২০১৮-২০১৯ অর্থবর্ষে বিধায়ক তহবিল থেকে ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বাসস্ট্যান্ড করার জন্য আবেদন করেন জেলাশাসক পশ্চিম বর্ধমান-কে। উনি, অনুমতি দেন এবং দুর্গাপুর মিউনিসিপাল কর্পোরেশন সেটাকে লাগু করেন। এই কাজ দুর্গাপুর পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুমা পারিয়ালের তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণ করা হয়। কিন্তু, মজার বিষয় হল, যেখানে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় একটি বেডরুম, শৌচালয়, বারান্দা সহ ৪৫০ স্কয়ার ফুট বাড়ি ৩ লক্ষ ৬৭ হাজার ৮৫৮ টাকায় তৈরি হচ্ছে, সেখানে দাঁড়িয়ে ৩ দিক ফাঁকা নীচে মোজাইক, দুই পাশে এসিপি কন্সট্রাকশনের কাজের মূল্য ১০ লক্ষ টাকা! করঙ্গপাড়ার মানুষ এই বিষয় প্রশ্ন তুলছে ? এই পোস্ট ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় করঙ্গপাড়া অঞ্চল সহ দুর্গাপুরের রাজনৈতিক মহলে। অভিষেক পালকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ‘বিধায়ক তহবিল থেকে স্থানীয় মানুষদের সুবিধার্থে বাসস্ট্যান্ড তৈরি করা হয়েছে, তাকে তিনি সাধুবাদ জানান। কিন্তু, ওই বাসস্ট্যান্ড তৈরি করতে ১০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে, এ তথ্য জানার পর তা তিনি মেনে নিতে পারেননি। তাই, তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন নিজের ভাষায়। তিনি বলেন, স্থানীয় মানুষের সুবিধার্থে, না নিজের লাভের জন্য প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়াল বিধায়ক তহবিলের টাকা ব্যবহার করেছেন! তা এখন অনেকটাই পরিষ্কার হচ্ছে করঙ্গপাড়া-সহ আশপাশের বসবাসকারী বাসিন্দাদের কাছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 2 =