ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজের হস্টেলেও। শুধু তাই নয়, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাদের আস্কারাতেই হস্টেলের কিছু আবাসিক ও বহিরাগতরা ওই পড়ুয়ার উপর দিনের পর দিন অত্যাচার চালাচ্ছে বলেও জানা যাচ্ছে। যাঁদের সঙ্গে এই ব়্যাগিং করা হচ্ছে তাঁরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে সমগ্র ঘটনা। সঙ্গে জানানো হয়েছে থানাতেও। তবে থানা-পুলিশ করেও এই সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি বলে দাবি পড়ুয়ার। তবে যাদবপুর কাণ্ডের পর নড়েচড়ে বসতে দেখা গেছে পুলিশ-প্রশাসনকে। সূত্রে খবর মিলছে, এসিপি সোমনাথ মজুমদার যোগাযোগ করেছেন অভিযোগকারী ওই পড়ুয়ার সঙ্গে। অবশেষে আলিপুর আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের ঘরে গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে ওই পড়ুয়ার। পুলিশের তরফে এমনই জানানো হয়েছে তাঁকে।
গোপন জবানবন্দি নেওয়ার কথা কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে জানানোর পর কিছুটা আশ্বস্ত অভিযোগকারী পড়ুয়া।এই প্রসঙ্গে তিনি এও জানান, ‘এতদিন পরে পুলিশ আমাকে জানাল যে আমার জবানবন্দি নেওয়া হবে। আশা করি সঠিক তদন্ত হবে এবং দোষীরা শাস্তি পাবে। র্যাগিং সমাজ থেকে নির্মূল হোক, এটাই আমি চাই।’
উল্লেখ্য, বালিগঞ্জ সায়েন্সের হস্টেলে ওই পড়ুয়ার সঙ্গে বিভিন্ন রকমের অত্যাচার চলত বলে অভিযোগ। যেম, তাঁর ঘরের সামনে রাতে কেউ প্রস্রাব করে দিয়ে চলে যেত। কখনও হস্টেলের ঘর বাইরে থেকে তালাবন্ধ করে দেওয়া হত। বন্ধ দরজার বাইরে লাথালাথি তো লেগেই থাকত। শুধু তাই নয়, ইন্ট্রোর নামেও বিভিন্নভাবে তাঁকে হেনস্থা করা হত বলে অভিযোগ। পড়ুয়ার দাবি, তাঁর যৌন প্রবৃত্তি নিয়েও বিভিন্ন ধরনের খোঁচা হজম করতে হয়েছে বিগত দিনগুলিতে। হস্টেলে অনেকদিন ধরে তাঁর মেসের খাবার ও পানীয় জলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ।