ত্রিপুরায় আক্রান্ত খোদ রাজ্যেরই মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন

ভোটের ঠিক দুদিন আগে ত্রিপুরা আক্রান্ত রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। ধর্মনগরে তাঁকে প্রকাশ্যে পেটানোর অভিযোগ উঠল বিজেপি মহিলা সমর্থকের বিরুদ্ধেই। শুধু তাই নয়, আক্রান্ত বর্ণালী গোস্বামী রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন তো বটেই পাশাপাশি তিনি বিজেপির অন্যতম নেত্রী বলে পরিচিত। মঙ্গলবার তাঁকে টেনে হিঁচড়ে পুলিশের সামনেই আঘাত করেন আরও কয়েকজন মহিলা। যাঁরা এমন ঘটনা ঘটনা তাঁরাও নিজেদের বিজেপির নারী মোর্চার সদস্য বলে দাবি করেন। হামলার পর বর্ণালী গোস্বামী ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানান, ভোটের মাত্র দুদিন বাকি। এমন সময় আমাকে যেভাবে হেনস্থা করা হল তা বিজেপির পক্ষে ক্ষতি হবে। পুরো ঘটনাটিকে তিনি দলীয় অন্তর্ঘাত বলেই চিহ্নিত করেন।

এদিকে যাঁরা এই ঘটনা ঘটান তাঁদের তরফ থেকে দাবি করা হয়, বিজেপি প্রার্থী হিসেবে টিকিট না পেয়ে বর্ণালী গোস্বামী গোপনে দলীয় প্রার্থী বিশ্ববন্ধু সেনের বিরুদ্ধে ভোট কাটার ছক করেছেন। আরও অভিযোগ, রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের মত পদে থেকে বর্ণালী গোস্বামী টাকা বিলিয়ে বিজেপির প্রার্থীকে হারাতে মরিয়া তিনি।

তবে এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে আক্রান্ত রাজ্য মহিলা কমিশন চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী দাবি করেন, ভোটের শেষ প্রচারের জন্য বিজেপি যুব মোর্চা নেতার বাড়িতে এসেছিলাম। নিজেদের মধ্যে আলোচনার সময় কয়েকজন মহিলা বিজেপির প্রতীক চিহ্ন সহ ঘিরে ধরেন। আমাকে জোর করে হিঁচড়ে যুব মোর্চা নেতার বাড়ি থেকে বের করে মারধর করা হয়। তিনি বলেন আমার নিজের দলের কর্মীরা এমন করছে।

এদিকে এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিক নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনকে হেনস্থার সময় পুলিশের তরফে কোনও হেলদোল দেখা যায়নি। কেন হামলার সময় পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নিল না তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 − one =