রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা ছাত্ররা টর্চ হাতে খুঁজতে বের হব। আপনারাও আসুন। এই ব্যানার নিয়ে মিছিলি করে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা হুগলির উত্তরপাড়া থানার আধিকারিকের কাছে ডেপুটেশন দেয়।পাশাপাশি এদিন সকালে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর ‘সন্ধান চাই’ লেখা পোস্টার মেরে এবং হাতে পোস্টার নিয়ে উত্তরপাড়া সখের বাজার ও রাস্তায় রাস্তায় খোঁজ চালায় বাম ছাত্র যুব কর্মীরা। জানা গিয়েছে, সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিতে কলকাতা যাওয়ার জন্য জলপাইগুড়ি থেকে পদাতিক এক্সপ্রেস ধরেছিলেন পরেশ অধিকারী। সঙ্গে ছিলেন তার মেয়ে অঙ্কিতা। কিন্তু কলকাতায় পৌঁছননি তারা। রেলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে বর্ধমান স্টেশনে নেমেছেন তারা। কিন্তু তারপর থেকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। তাই এদিন পরেশ অধিকারী ও তার মেয়ের সন্ধানে আজ জেলার বিভিন্ন জায়গায় খুঁজতে বের হন বামপন্থী ছাত্র যুবরা। বামপন্থী ছাত্র নেতৃত্বের দাবি দোষ করে না থাকলে আত্মগোপনের কি প্রয়োজন। প্রভাব খাটিয়ে নিজের মেয়েকে স্কুলে চাকরি দিয়েছেন মেখলিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক পরেশ অধিকারী। আর এনিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপরি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। সিবিআই হাজিরার ভয়ে আত্মগোপন করে আছেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। তাই এদিন হুগলি জেলার বিভিন্ন থানায় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর নামে মিসিং ডায়রির কর্মসূচি নেয় বাম ছাত্র যুবরা। উত্তরপাড়া থানাতেও এই কর্মসূচি হয়। তাদের দাবি, ১১ বছর ধরে এসএসসিতে ভয়াবহ দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ করে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত তৃণমূল সরকার। এই চাকরি চোর ও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই তাকে দ্রুত খুঁজে বের করতে হবে। বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের আরও দাবি, এই দুর্নীতি যুক্ত সরকারি আধিকারিকদেরও গ্রেপ্তার করতে হবে। সবমিলিয়ে মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর সন্ধান চাই পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য উত্তরপাড়া সহ হুগলি জেলা জুড়ে।