শ্বশুরবাড়ি গিয়ে গুরুতর আক্রান্ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক অনুপ কর

বিয়ের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ার পর শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে শ্বশুরসহ তার পরিবারের সদস্যদের হাতে আক্রান্ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক অনুপ কর। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার থানার দুর্গাপুর এলাকায়। গুরুতর জখম অবস্থায় টিএমসিপির ওই নেতাকে রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় রায়গঞ্জ থানার মাধ্যমে ইটাহার থানায় শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে আক্রান্ত নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে।

জানা গিয়েছে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অনুপ কর ইটাহার থানার দুর্গাপুরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী অমিত কুণ্ডুর মেয়ে শ্রেয়সী কুণ্ডু, বাবার অমতে বিয়ে করে মাস পাঁচেক আগে। কলকাতায় বিয়ে করার পর ধীরে ধীরে পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হয় তাদের। পরে তারা অনুপের বাড়ি ফিরে আসে। অভিযোগ বুধবার সন্ধ্যায় অনুপ বাবুকে রেজিস্ট্রি বিষয় নিয়ে তার বাড়িতে ডেকে পাঠান তার শ্বশুর অমিতবাবু।বাড়িতে যাওয়ার পরেই অমিত ওরফে দুলু কুণ্ডুর নেতৃত্বে তার পরিবারের সদস্যরা লাঠি, ধারালো অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক মারধর করতে থাকে জামাই অনুপকে বলে অভিযোগ। বেগতিক বুঝে প্রাণে মেরে ফেলা হতে পারে, এমন আশঙ্কা করে স্যোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন অনুপের স্ত্রী শ্রেয়সী। এই ডিভিও দেখার পর অনুপের পরিবারের লোকজন ও রায়গঞ্জের তৃণমূল নেতৃত্ব দুর্গাপুরে দুলু কুণ্ডুর বাড়িতে গিয়ে কোনো রকমে অনুপকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় অনুপকে ওটি করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা। এই ঘটনায় তীব্র আলোড়ন ছড়িয়েছে রায়গঞ্জ শহর জুড়ে।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনুপ কর বলেন, এই ঘটনার পেছনে অনেক বড় মাথা রয়েছে। আমাকে আজকে বিয়ের রেজিস্ট্রি বিষয় নিয়ে কথা বলবে বলে তার বাড়িতে ডেকে ছিল। বাড়িতে ডেকে অমিত কুণ্ডু সহ তার পরিবারের সদস্যরা বেধড়ক মারধর করে মেরে ফেলার চেষ্টা করে।
এদিন নেতার স্ত্রী শ্রেয়সী কুন্ডু বাড়ি থেকে লুকিয়ে বেরিয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছে,আমাদের বিয়ে মেনে না নেওয়ায় বুধবার রাতে বাড়িতে ডেকে আমার স্বামীকে আমার পরিবারের সদস্যরা বেধড়ক মারধর করে খুন করার চেষ্টা করে।
উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে ইটাহার বিধানসভা কেন্দ্র থেকে লড়াই করেছিলেন অমিত কুণ্ডু। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন অমিত কুণ্ডু। স্বাভাবিক কারনেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অনুপ করকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ওঠায় ব্যাপক শোরগোল পরেছে জেলাজুড়ে।

পুলিশ আধিকারিকরা এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে জানা গিয়েছে, পুলিশ লিখিত অভিযোগ অনুযায়ী মামলা শুরু করেছে। অভিযুক্তরা পলাতক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − fourteen =