পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয় পর্বেই অশান্তি নিয়ে সরব বিরোধী শিবির। এদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে পাশাপাশি এও দাবি করা হচ্ছে, বিস্তর ঝামেলা হতে পারে এই নির্বাচনে। এমনই এক প্রেক্ষিতে পর্যবেক্ষক পাঠাবে বলে জানায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেই এবার আদালতের দ্বারস্থ হল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের আদৌ রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর অধিকার রয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই মর্মে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের অনুমতি চায় নির্বাচন কমিশন। আদালত মামলায় দায়ের অনুমতি দিয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। আদালত সূত্রে খবর, বৃহস্পতি বা শুক্রবার এই মামলার শুনানি হতে পারে যেতে পারে। আদালত এখন এই নিয়ে কী পর্যবেক্ষণ দেয়, সেটাই এখন দেখার।
প্রসঙ্গত, ৮ জুন ভোট ঘোষণা হওয়ার পর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পঞ্চায়েতে মনোনয়নে জমায় সময়সীমা বৃদ্ধি, অনলাইন মনোনয়ন ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন সহ একাধিক দাবি জানানো হয় আদালতের কাছে। সোমবার শুনানির দিন আদালত মনোনয়নের সময়সীমা বৃদ্ধির পরামর্শ দেয় নির্বাচন কমিশনকে। এর পাশাপাশি ৮ জুলাইয়ের পরিবর্তে ১৪ জুলাই পঞ্চায়েত ভোট করার পরামর্শ দেয় আদালত। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, কোনওভাবেই ২০১৮ সালের মতো পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে দেওয়া যাবে না। নির্বাচনের দিন কমিশনের সিদ্ধান্তের ওপরে ছাড়া হলেও পাশাপাশি বিরোধীদের দাবি কার্যত মেনে নিয়ে রাজ্যের সাতটি জেলাকে চিহ্নিত করে সেখানে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় আদালত। কলকাতা হাইকোর্ট আরও জানিয়ে দেয়, যে যে এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ বাহিনী দেওয়া সম্ভব নয়, সেখানেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। সরকারি কর্মীদের নিরাপত্তা দায়িত্বও কমিশনকে নিতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত। এর পাশাপাশি সব বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।