কলকাতা : ভোটের ছায়া এখনও দূরে হলেও প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে কেন্দ্রের শাসকদলে। বঙ্গ বিজেপির নতুন কমিটি গঠনের পরিকল্পনায় ধর্মীয় ‘শুভক্ষণ’-এর কথাও এবার গুরুত্ব পাচ্ছে। ভাদ্র মাসে শুভ কাজ না করার রীতি মাথায় রেখে শ্রাবণ মাসের মধ্যেই নতুন রাজ্য কমিটির ঘোষণা চায় দিল্লি। ঠিক এই ভাবনার জেরেই সোমবার সংসদে নিজের দফতরে অমিত শাহ দীর্ঘ বৈঠকে বসেন রাজ্য বিজেপির চার শীর্ষনেতা ও তিন পর্যবেক্ষকের সঙ্গে।
এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য, প্রাক্তন সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী এবং যুগ্ম সম্পাদক সতীশ ঢোন্ড। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন সাংগঠনিক পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল, রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে এবং অমিত মালব্য।
সূত্র বলছে, বৈঠকে মূলত আলোচনা হয়েছে—নতুন কমিটিতে কে কোথায় থাকবেন, কোন দায়িত্বে কারা উপযুক্ত, আর নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা নেতাদের সংগঠনের কাজ থেকে কতটা মুক্ত রাখা সম্ভব। কারণ, বর্তমান সাধারণ সম্পাদকদের অনেকেই আবার বিধানসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। ফলে সাংগঠনিক ভারসাম্য যাতে না নড়ে যায়, তারই ছক কষা হয়েছে।
বৈঠকে রাজ্যের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তেজনা, আরজি কাণ্ডে নিহত চিকিৎসকের পরিবার এবং বাংলা ভাষা নিয়ে বিতর্কের কথাও শাহের সামনে তুলে ধরা হয়েছে বলে জানা গেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, শুভেন্দু অধিকারীকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তিনি অসুস্থতার কারণে উপস্থিত থাকতে পারেননি।
বিজেপির একাধিক শীর্ষসূত্র মনে করছে, এবার দলের লক্ষ্য শুধু মুখ পাল্টানো নয়—সংগঠনের ভিত মজবুত করা। সময় বাঁচাতে তাই শ্রাবণের মধ্যেই দায়িত্ব বণ্টনের প্রক্রিয়া শেষ করতে মরিয়া কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

