বেআইনি নিয়োগ সরিয়ে কত শূন্য পদ ফিরিয়ে দিতে পারবে স্কুল সার্ভিস কমিশন এবার এসএসসি-র কাছ থেকে এই তথ্য জানতে চাইলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।আর তা স্কুল সার্ভিস কমিশনকে জানাতে হবে আগামী সোমবারের মধ্যে, এমনটাই চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন তিনি। আর তা করতে হবে কমিশনের ক্ষমতা ব্যবহার করে। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টে নবম দশম নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানির সময়ে এমনই নির্দেশ দিতে দেখা যায় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুকে। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের নবম-দশম নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত একটি মামলায় এদিন আদালতে জমা পড়ে সিবিআইয়ের তরফে একটি রিপোর্টও।
প্রসঙ্গত, এই মামলায় সিবিআইকে আগেই প্রশ্ন করা হয়েছিল, নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় বেআইনি সুপারিশগুলি খুঁজে বের করতে কত সময় লাগবে তা নিয়ে। এই বিষয়েই এদিন রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই।এই রিপোর্ট জমা পড়ার পরই এদিন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এ প্রশ্নও করেন তদন্ত তো করছেন, তাহলে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না কেন তা নিয়েও। একইসঙ্গে তিনি এ প্রশ্নও তোলেন, সিবিআই তাদের হেপাজতে নিয়ে কেন প্রশ্ন করছেন না। বিচারপতি এই প্রসঙ্গে এও বলেন, ‘কারা টাকা দিয়েছে, কারা জড়িত সেই সব দেখে ব্যবস্থা নিন।’ উল্লেখ্য, মামলাকারীর আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত আদালতে দাবি করেছেন, তাদের কাছে ১৬ জন প্রার্থীর নাম রয়েছে, যাদের নম্বরে গরমিল রয়েছে।
এদিকে নিয়োগ দুর্নীতির সংক্রান্ত একাধিক মামলার শুনানি চলছে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর একক বেঞ্চে। মঙ্গলবারই সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে বেশ অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। কারণ, আদালতের নজরে আসে সিবিআইয়ের তরফে আদালতে যে তথ্য জমা করা হয়েছে, তার সঙ্গে সিবিআইয়ের আইনজীবীর তথ্যে মিল থাকছিল না। এরপই বিচারপতি বেশ ক্রুদ্ধ হয়েই জানান, , ‘সিবিআই এর ফাইল করা রিপোর্টে যা আছে, তার তুলনায় আইনজীবীর ফাইলে আরও বেশি তথ্য আছে।’ আর এমনটা কা করে ঘটছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। সঙ্গে প্রশ্ন তুলেছিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকা নিয়েও।কারণ, এদিন তিনি জানতে চেয়েছিলেন, সব কি আদালতের দায়িত্ব? কেউ ঠকিয়ে চলে গেলে কেন চুপ করে বসে থাকবে? কীসের এত ভয়? সেই সময়েও বিচারপতি বলেছিলেন, কেন স্কুল সার্ভিস কমিশন নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করছে না? যাঁরা নিয়ম ভেঙে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের বরখাস্ত করার কথাও বলেছিলেন বিচারপতি।