আদালতের নির্দেশ মতো এবার চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। নবম-দশমের ক্ষেত্রে আগামী সপ্তাহেই ৮০৩ জনের চাকরি বাতিল করা হবে বলে কলকাতা হাই কোর্টে হলফনামা দিয়ে এমনটাই জানানো হয়েছে এসএসসির তরফ থেকে। এই প্রসঙ্গে কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানান, এভাবেই আগামিদিনে ধাপে ধাপে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়া এগোবে। তবে পুরো প্রক্রিয়া যেহেতু দীর্ঘ, সেই কারণে তা শেষ করতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে বলেও জানান তিনি। আর এই হলফনামা আদালতে পেশ করা হয় বুধবারই। প্রসঙ্গত, ওএমআর শিট বিকৃত করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ ওঠে। আর তারই তদন্তে নেমে সিবিআই দুর্নীতির ছবি সামনে নিয়ে আসে। এরপরই আদালত নির্দেশ দেয় চাকরি বাতিল করার।
সিবিআই তদন্তে দেখা যায়, ওএমআর বিকৃতির অভিযোগে মোট ৯৫২ জনের নাম সামনে আসে। এই ৯৫২ জনকে বেআইনিভাবে সুপারিশ করা হয়েছিল বলেই জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এসএসসি সূত্রে খবর, এর মধ্যে বর্তমানে চাকরি করেন ৮০৩ জন। এই ৮০২ জনের তালিকা আগামী সপ্তাহে সামনে আনতে চলেছে এসএসসি।একইসঙ্গে এদিন এসএসসির তরফ থেকে এও জানানো হয়, তাঁদের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করা হবে। আদতে প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে মেধাতালিকায় প্রকাশিত নম্বরের ফারাক যাঁদের অনেক বেশি, তাঁদের নাম আগে রাখা হবে বলে জানান কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। তবে ১ থেকে ২ নম্বরের পার্থক্যও যেখানে রয়েছে সে সব ক্ষেত্রেও রেয়াত করা হবে না বলেই জানান তিনি। পাশাপাশি সিদ্ধার্থবাবু এও জানান, ওই চাকরি বাতিল হলে সেই জায়গায় চাকরি পাবেন ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীরা।
উল্লেখ্য, নবম-দশম নিয়োগের যাঁদের চাকরি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, বুধবার তেমনই এক চাকরিপ্রাপকের মামলা খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এসএসসি সাইটে প্রকাশিত বিকৃত ওএমআর শিট আমার নয়, এ কথা কেন বলতে পারছে না মামলাকারী চাকরিপ্রাপকেরা, সেই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।এরও আগে এই মামলার তদন্তে গতি আনতে সিবিআই-কে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।