২০১১ সালে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সিলেবাসের বাইরে প্রশ্নের জন্য নম্বর স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও ভুল এবং সিলেবাস বর্হিভূত প্রশ্নের উত্তরে নম্বর না দেওয়ার ঘটনাকে সামনে এনে প্রশ্ন তোলে কলকাতা হাইকোর্ট। এরপর গত ১৭ মার্চ এসএসসির চেয়ারম্যানকে আদালতে এসে হাজিরা দেওয়ার জন্য নির্দেশও দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। শুক্রবার সেই মামলাতেই হাইকোর্টে এসে ক্ষমা চাইতে দেখা গেল এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারকে। প্রসঙ্গত,আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ২০১১ সালের উচ্চ প্রাথমিকের টেট প্রার্থীদের ভুল এবং সিলেবাসের বাইরের প্রশ্নের জন্য নম্বর না দেওয়ায় এসএসসিকে চরম ভর্ৎসনা করেছিল আদালত। শুধু তাই নয়, সমস্ত নির্দেশ বাতিল করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল আদালত। সঙ্গে নতুন রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।
এই প্রসঙ্গে এদিন আদালতে সিদ্ধার্থবাবু এও জানান, ‘আদালতের নির্দেশ ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে আমাদের ভুল হয়েছে।’ একইসঙ্গে এও জানান, ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে খতিয়ে দেখা হয়েছে এই সমস্ত খাতা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা বৃহস্পতিবার রাতে এই রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। পাশাপাশি এও জানান, সমস্তটা খতিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি। সবটা খতিয়ে দেখার জন্য শুক্রবার পর্যন্ত মামলা স্থগিত করা হয়। এই সময়ের মধ্যে এসএসসি খতিয়ে দেখবে বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট।
প্রসঙ্গত, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সিলেবাসের বাইরে প্রশ্ন করা হয়েছিল এমন অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ৮৩ জন। ২০২২-এ তাঁদের এই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে নম্বর দেওয়ার নির্দেশও দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তবে সেই নির্দেশ মানা হয়নি তা আগের শুনানিতে সামনে আসে। এরপরেই এসএসসির চেয়ারম্যানকে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলাতে হাজিরা দিয়েই এসএসসির চেয়ারম্যান স্বীকার করে নেন আদালতের নির্দেশ বুঝতে তাঁদের তরফে ভুল হয়েছে।