দীর্ঘ ছয় বছরের অবসান শেষে এবার হাতে এল নিয়োগপত্র। কারণ,শুক্রবার থেকে শুরু হল এসএসসি বঞ্চিত প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া। এদিকে র্যাঙ্ক জাম্প করে চাকরি পাওয়ায় জেরে যে সব অযোগ্যরা চাকরি পেয়েছিলেন তাঁদের জন্যই বঞ্চিত হন বেশ কিছু যোগ্য প্রার্থী। এই সব যোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে ৬৫ জনকে সুপারিশপত্র দেওয়ার জন্য শুক্রবার ডাকা হয় এসএসসি ভবনে। এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার এই প্রসঙ্গে জানান, ‘ওয়েটিং লিস্ট থেকে আদালতের নির্দেশ মতো শুরু হয়েছে নিয়োগ।’ একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, এসএসসি তরফ থেকে আদালতের কাছে একটি হলফনামা পেশ করা হয় সেপ্টেম্বর মাসে। নথি পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছিল ১৮৩ জন র্যাঙ্ক জাম্প করে সুপারিশ পত্র পেয়েছে।এরপরই তাদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। এরই পাশাপাশি ডিআইদের কাছ থেকেও চাওয়া হয় এই ১৮৩ জনের ব্যাপারে তথ্য। তখন এও সামনে আসে ১০২ জন নিজেদের চাকরিতে যোগ দেননি। আদালতের নির্দেশে, সেই শূন্যস্থানেই বঞ্চিত প্রার্থীদের প্যানেল থেকে নিয়োগের নির্দেশ দেয় আদালত। সেই মতোই শুক্রবার সুপারিশপত্র দিতে ৬৫ জনকে ডাকে স্কুল সার্ভিস কমিশন।
তবে এ প্রশ্নও এদিন উঠে এল যে, ১০২টি শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও কেন শুধুমাত্র ৬৫ জন চাকরিপ্রার্থীকে কেন ডাকা হল তা নিয়ে। এদিকে আন্দোলনে এখনও রাস্তায় হাজার হাজার শিক্ষকপদে চাকরিপ্রার্থী।এই প্রসঙ্গে এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার অব্শ্য জানান, ‘আদালত নির্দেশ দিয়েছিল ১০২ পদে শিক্ষকেরা যোগ দেননি। তাতে মেধা তালিকা থেকে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য ডাকার কথা বলা হয়। কিন্তু মেধা তালিকায় যোগ্য প্রার্থী হিসেবে ৬৫ জনকে পাওয়া যায়। সেই মতোই পড়ে ডাক।’ একইসঙ্গে সিদ্ধার্থবাবু এও জানান, ‘কিছু কিছু ক্ষেত্রে মেধা তালিকা শেষ হয়ে গিয়েছিল।ফলে এখন আর কাউকে নিয়োগ করবার মতো নেই। আমরা ৬৮ জনকে পেয়েছিলাম, তার মধ্যে তিনজনের ক্ষেত্রে একটু সমস্যা ছিল। সেকথাও বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে জানানো হয়।এ ব্যাপারে হলফনামাও জমা দেওয়া হয়।ফলে ৬৫ জনকে শুক্রবার ওই নন জয়েনিং ভেকেন্সিতে সুপারিশ পত্র দেওয়ার জন্য শুক্রবার ডাকা হয়।’