আফগান স্বপ্ন ধ্বংস করে সেমির লড়াই জমিয়ে দিল শ্রীলঙ্কা

সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে ব্রিসবেনের গাব্বায় আজকের ম্যাচ জিততেই হত। সেই লড়াইয়ে টিকে গেল শ্রীলঙ্কা। ৬ উইকেটে ম্যাচ হেরে শেষ হয়ে গেল আফগান স্বপ্ন। অস্ট্রেলিয়া থেকে ব্যাগ গুছিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় চলে এল রশিদ খানদের। মঙ্গলবার সকালে মহম্মদ নবিদের ১৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ধনঞ্জয় ডি সিলভার অর্ধশতরানের দৌলতে ৯ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা। সেমিফাইনালে পৌঁছাতে হলে শ্রীলঙ্কার সামনে এখন অনেক সমীকরণ। তবু বলা যায়, এই ম্যাচ জিতে সেমির লড়াই জমিয়ে দিলেন দাসুন শনাকারা। আফগানদের হারিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপের গ্রুপ ১-এর পয়েন্ট টেবিলে ইংল্যান্ডকে ছাপিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে দ্বীপরাষ্ট্রটি। যদিও নেট রান রেটে পিছিয়ে তারা। শ্রীলঙ্কার পরবর্তী ম্যাচ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। শেষ চারে পা রাখতে হলে সেই ম্যাচ জিততেই হবে, একইসঙ্গে রান রেটের দিকেও নজর থাকবে।

স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কার বোলিং ব্রিগেড আট উইকেট নিয়ে ১৪৪ রানে আটকে দেয় আফগানিস্তানকে। গাব্বায় টস জিতে আফগানিস্তান ব্যাটিংয়ের সূচনাটা ভালোই করেছিলেন দুই ওপেনার রহমানুল্লা গুরবাজ এবং উসমান গনি। পাওয়ার প্লে-তে ওঠে ৪২ রান। মরণ বাঁচন ম্যাচে বড় রানের স্বপ্ন দেখছিলেন নবিরা। শেষ পর্যন্ত তা হয়ে ওঠেনি। হাসারাঙ্গাদের দাপটে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে। আফগানিস্তানের তারকা ব্যাটার রহমানুল্লা গুরবাজ সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন। চার ওভারে ১৩ রান দিয়ে একাই তিন উইকেট নেন হাসারাঙ্গা। পেসার লাহিরু কুমারা চার ওভারে ৩০ রানের বিনিময়ে নেন দুটি উইকেট।

বোলিংয়ের সূচনাটাও দারুণ ছিল আফগানদের। শ্রীলঙ্কার ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই মুজিব উর রহমান ফেরান পাথুম নিশাঙ্ককে। মুজিব ও ফজলহক ফারুকি মিলে রানের গতি আটকে রাখার কাজে সফল। পাওয়ার প্লে-তে শ্রীলঙ্কার খাতায় ওঠে ২৮ রান। ১০ ওভারে ৬৩ রান তোলেন লঙ্কানরা। তারপরই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে শ্রীলঙ্কা। ধনঞ্জয় ডি সিলভা ও চরিথ আসালঙ্কারা দ্রুত রান তোলার কাজে মন দেন। সিলভা অর্ধশতরান হাঁকান। ২টি উইকেট পেলেও রশিদ খানের বিরুদ্ধে খুব একটা বিব্রত দেখায়নি লঙ্কান ব্যাটারদের।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − 7 =