ছড়াচ্ছে কনজাংটিভাইটিস, সাবধান হন এখনই

গত কয়েকদিন ধরে চোখের যে সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে তার নাম কনজাংটিভাইটিস। যদিও চলতি কথায় একেই বলা হয় ‘জয় বাংলা’। চোখ লাল হয়ে শুরু হয় কড়কড় করা, জ্বালা অনুভব করা, চোখ থেকে জল পড়া।

কিন্তু কী এই রোগ? কনজাংটিভাইটিস হলে কী করবেন জেনে নিন

কনজাংটিভা হল চোখের স্বচ্ছ স্তর, অর্থাৎ চোখের সাদা অংশের ওপরের আস্তরণ।কনজাংটিভাইটিস হল কনজাংটিভায় ইনফ্ল্যামেশন বা প্রদাহ।

লক্ষণ—চোখের নীচের অংশ লাল হয়ে যাওয়া, চোখে ব্যথা বা খচখচ করা, জল পড়া, চোখ জ্বালা করা ও চুলকানি, আলোয় কষ্ট হওয়ার মতো লক্ষণ দেখা গেলেই অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কখনও কখনও চোখের লোম আঠার মতো জুড়ে যাওয়া বা চোখের নীচে ময়লার আস্তরণ পড়তেও দেখা যায় এই রোগে।

সতর্কতা—
এই রোগ খুবই সংক্রামক। বারবার চোখ ঘষা, কনজাংটিভাইটিস হয়েছে এমন রোগীর তোয়ালে, রুমাল বা অন্য জিনিস ব্যবহার করলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। এই অবস্থায় পরিবারের নিরাপত্তার জন্য মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে।কনজাংটিভাইটিস হলে রোগীর চোখের জল থেকে রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। তাই সেক্ষেত্রে রোগীর পরিবারের লোকেদেরও বারবার হাত ধোওয়ার অভ্যেস করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে বারবার চোখে যেন হাত না যায়।

 রোগ কি কোনও ভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব?

চক্ষু চিকিৎসক কুণাল পাত্রের কথায়, কনজাংটিভাইটিস ভাইরাল রোগ, তাই একে আটকানোর তেমন কোনও উপায় নেই। বার বার হাত ধোয়া, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে ঝুঁকি খানিকটা এড়ানো যায়।

কনজাংটিভাইটিস হলে কী করণীয়?

চোখে বার বার জলের ঝাপটা দিলে আরাম হয়।

কোনও কোনও চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ সুবর্ণ ঈষদুষ্ণ গরম জলে এক চিমটে নুন দিয়ে সেই জলে তুলো ভিজিয়ে চোখ পরিষ্কার করতে পারেন। তুলো চোখে রেখে গরম ভাপ নিলে আরাম হবে।

ওষুধ ও প্রতিকার

কনজাংটিভাইটিস হলে অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে। এছাড়া বারবার পরিষ্কার হাতে পরিষ্কার জলের ঝাপটা দিয়ে চোখ ধুতে হবে।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 − five =