ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে হাতে গোনা ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন গত সংস্করণে। এই সুযোগ আগেই আসত। কিন্তু চোটের কারণে অপেক্ষা বেড়েছে। অবশেষে গত সংস্করণে আইপিএল অভিষেক। পরপর দু-ম্যাচে সেরার পুরস্কার। কিন্তু এরপরই ফের চোট পেয়ে ছিটকে যান। গতিতে মুগ্ধ করেছিলেন মায়াঙ্ক যাদব। একই সঙ্গে দুর্দান্ত নিয়ন্ত্রণ, লাইন-লেন্থ। মায়াঙ্ক যাদবকে ভবিষ্যৎ তারকা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজেই প্রথম বার জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন। গোয়ালিয়রে অভিষেকও হয়েছে মায়াঙ্কের। তবে আইপিএলের মতো ১৫৬-র বেশি গতিতে বোলিং দেখা যায়নি।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অভিষেক ম্যাচে ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন মায়াঙ্ক যাদব। ১৪টি ডট বল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু মেডেন ওভার দিয়ে। মায়াঙ্ক বলছেন, ‘সত্যি বলতে, প্রচণ্ড উত্তেজনায় ভুগছিলাম। কিছুটা স্নায়ুর চাপও ছিল। দীর্ঘ চোট থেকে ফিরেছিলাম। সে কারণেই হয়তো স্নায়ুর চাপ ছিল।’ মায়াঙ্ক যাদবকে নিয়ে গতির প্রশ্ন হবে, সেটাই স্বাভাবিক। সেই প্রসঙ্গও উঠে এল।
ভারতের নতুন স্পিডস্টার মায়াঙ্ক বলছেন, ‘গতির বিষয়টি সবসময়ই মাথায় থাকে। তবে আইপিএল খেলার সময় একটা বিষয় বুঝেছি, ধারাবাহিকতা আরও বেশি জরুরি। লাইন লেন্থ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ধারাবাহিকতা দেখাতে পারলে, ব্যাটাররা সম্মান দিতে বাধ্য। সেটাতেই বেশি মনসংযোগ করেছি।’ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বুধবার নয়াদিল্লিতে। ব্যক্তিগত ভাবেও মায়াঙ্কের কাছে এই সিরিজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর ফিটনেস এবং পারফরম্যান্স ভরসা দিলে অস্ট্রেলিয়া সফরেও সুযোগ মিলতে পারে মায়াঙ্কের।