ফ্ল্যাট দুর্নীতিতে নুসরতকে ইডি তলবের পর এখন বঙ্গ রাজনীতিতে একটাই জল্পনা যশ আদৌ বিজেপিতে আছেন কিনা তা নিয়েই। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ যশ দাশগুপ্ত। এরপর হুগলির চণ্ডীতলা থেকে প্রার্থীও করা হয় তাঁকে। কিন্তু, তৃণমূল প্রার্থী স্বাতী খোন্দকারের কাছে পরাজিত হন তিনি। এরপর থেকে তাঁকে বিজেপির কোনও কর্মসূচিতে তাঁকে দেখাও যায়নি। তিনি খাতায় কলমে-ই কি বিজেপির সদস্য তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা থেকেই গেছে।
এই বিষয়ে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানান, ‘২০২১ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে আমরা চেয়েছিলাম বিভিন্ন পেশার মানুষজন আমাদের সঙ্গে যুক্ত হন। সেই সময় তিনি আমাদের দলে এসেছিলেন। ভোটে লড়েছিলেন। কিন্তু, নির্বাচিত প্রতিনিধি হতে পারেননি। তিনি দলে আছেন বলে অন্তত আমার বা আমাদের জানা নেই।’
অন্যদিকে, যশের গেরুয়া শিবিরে থাকা প্রসঙ্গে কিছুটা একই সুর শোনা গেল তাঁরই এক পেশায় থাকা বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষের গলাতেও। রুদ্রনীল এই প্রসঙ্গে জানান, ‘পালাবদলের আবহাওয়া তৈরি হলে অনেক মানুষ আসেন তাঁদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য। আবার কেউ কেউ রাজনীতিতে আসেন মানুষের জন্য। আমি নিজের ভালো চাই নাকি মানুষের, তা ভাবতে হবে।’ একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘যশ এসেছিলেন, এরপর তিনি নিজেকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। এটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। আমরা অনেকেই নিজেদের মধ্যে আড্ডা দিয়ে থাকি। কিন্তু, যশ কখনও তেমন ছিলেন না। তবে তিনি যে রাজনীতির অলিন্দে নেই তা তো প্রমাণ পাওয়া যায়।’
যদিও নিজের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করতে শোনা যায়নি যশ দাশগুপ্তকে। যদিও বিজেপিতে যোগদানের পর ২০২১ সালে এক সাক্ষাৎকারে যশ দাশগুপ্ত স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, পার্টটাইম রাজনীতি করতে তিনি আসেননি। শিকড়ে পৌঁছে মানুষের জন্য কাজ করতে চান তিনি। কোনও পদ দিয়ে তাঁর হাত-পা বেঁধে রাখা হবে না বলেও জানানো হয়েছিল বিজেপির তরফে, এমনটাও জানিয়েছিলেন যশ। সঙ্গে অবশ্য তিনি এটাও সংযোজন করেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি শ্রদ্ধা করেন।
এরপর রাজনীতির ময়দানে অনুপস্থিতি নিয়ে সেভাবে অভিনেতাকে কোনও মন্তব্য করতে স্বাভাবিকভাবেই বঙ্গ রাজনীতিতে প্রশ্ন উঠেছে যশ ‘রাজনীতির ময়দানে সক্রিয়’ কি না তা নিয়ে।