বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরুর আগের দিন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায়। অমর্ত্য সেনকে বিশ্বাভারতীর তরফ থেকে এদিন যে চিঠি দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে এদিন নিশানা করেন স্পিকার। এদিন স্পিকার বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায় স্পষ্টতই জানান, চিঠিতে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, জমির নথি নিয়ে যেভাবে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তা উপাচার্যের এক্তিয়ার-ভুক্ত নয়। পাশাপাশি এও বলেন, বিশ্বভারতীর উপাচার্য জমি দখলের অভিযোগ তুলে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে চিঠি দেওয়ার পরই অমর্ত্য সেনের বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনসমক্ষে জমির নথিও তুলে দিয়ে আসেন তিনি। এই প্রসঙ্গেই বিমানবাবু জানান, ‘উনি যা করেছেন, তা না করলেই পারতেন। এই ধরনের বক্তব্য় যদি রেখে থাকেন, তাহলে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। মুখ্যমন্ত্রী যেখানে নিজে জমির কাগজ দিয়ে এসেছেন, সেই কাগজের বৈধতা নিয়ে কথা বলার এক্তিয়ার ওঁর আছে কি না আমার জানা নেই। এভাবে বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা ধৃষ্টতা।’ ফলে সব মিলিয়ে বিশ্বভারতীর জমি বিতর্কের আঁচ এবার বিধানসভায়। প্রসঙ্গত, গত ২৪ জানুয়ারি অমর্ত্য সেনকে চিঠি দিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই চিঠিতেও অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জায়গা দখল করে রেখেছেন অভিযোগ তুলে অবিলম্বে সেটা ফিরিয়ে দেওয়ারও আবেদন করা হয়। এরপরই অমর্ত্য সেনের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
একইসঙ্গে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় টেনে আনেন সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মনোজিৎ মণ্ডলকে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী যে মেইল করেছেন, সেই প্রসঙ্গও। আর এই প্রসঙ্গে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এও জানান, এই মেইলে যে ধরনের বয়ান ব্যবহার করা হয়েছে, তার সঙ্গে উপাচার্যের শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনও সামঞ্জস্য নেই। আর এদিনের এই ঘনটার পর রাজনৈতিক মহলের অনুমান, বুধবার থেকে যে বাজেট অধিবেশন শুরু হবে, সেই অধিবেশনেও কক্ষের মধ্যে বিশ্বভারতীর জমি বিতর্ক নিয়ে আলোচনা হতে পারে।