জয়ের হ্যাটট্রিক করেই শেষ ষোলোয় স্পেন। কিন্তু গ্রুপের অন্য ম্যাচ শেষ হল চূড়ান্ত নাটকে। ক্রোয়েশিয়া বনাম ইতালি ম্যাচটি কার্যত নকআউট ছিল। ক্রোয়েশিয়ার মুখের গ্রাস কেড়ে নিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইতালি। প্রায় ১০ মিনিটের মতো অ্যাডেড টাইম দেওয়া হয়। অ্যাডেড টাইমের ৮ মিনিটে (৯০+৮) মিনিটে গোল করে শেষ ষোলো নিশ্চিত করে ইতালি। গ্রুপ পর্বেই কার্যত বিদায় হয়ে গেল মদ্রিচদের। মিরাকল ছাড়া পরের রাউন্ডে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই ক্রোয়েশিয়ার।
স্পেন প্রথম দু-ম্যাচ জিতে শেষ ষোলো নিশ্চিত করলেও চিন্তা ছিলই। প্রচুর গোলের সুযোগ তৈরি করলেও সেই অর্থে গোল হচ্ছিল না। প্রথম ম্যাচে ৩-০ গোলে জিতলেও দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী গোলে জয় এসেছিল। অথচ একঝাঁক সুযোগ তৈরি হয়েছে। আলবেনিয়ার বিরুদ্ধে স্পেনের নজর ছিল গোলের অভ্যাস তৈরি। ম্যাচের ১৩ মিনিটে ফেরান তোরেসের গোলে এগিয়ে যায় স্পেন। এর পর অবশ্য অপেক্ষাই অপেক্ষা। সুযোগ তৈরি হল, প্রচুর পাসও খেলা হল, কিন্তু গোলের দেখা মিলছিল না। শেষ অবধি ১-০ ব্যবধানেই জয় স্পেনের।
অন্য ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ক্রোয়েশিয়া ও ইতালি। ক্রোয়েশিয়া প্রথম ম্যাচেই হারায় প্রবল চাপে ছিল। দ্বিতীয় ম্যাচেও হারের ভ্রুকুটি ছিল। সেখান থেকে জয়ের সুযোগও তৈরি হয়। কিন্তু শেষ অবধি এক পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল। ক্রোয়েশিয়ার কাছে জয় ছাড়া কোনও বিকল্প ছিল না। ইতালি ড্র করলেও শেষ ষোলোতে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। ক্রোয়েশিয়াকে আশার আলো দেখান সেই বুড়ো ঘোড়া লুকা মদ্রিচই। ৫৫ মিনিটে তাঁর গোলেই এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। ক্রমশ জয়ের দিকেই এগোচ্ছিল তারা। ভাগ্য সঙ্গ দিল না। অ্যাডেড টাইমে মাতিয়া জাকানির গোলে সমতা ফেরায় ইতালি।