কার্লোস আলকারাস! একটা সময় রাফায়েল নাদাল! তরুণ বয়সে টেনিস কোর্টে তাঁদের কীর্তি অজানা নয়। স্পেন যেন বরাবরই তরুণদের বিজ্ঞাপন করে। কিছুক্ষেত্রে সাফল্যও আসে। ইউরো কাপে ১৬ বছরের স্প্যানিশ তরুণ জমি ধরাল ক্রোয়েশিয়াকে! তাঁর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দৌড়তে গিয়ে হিমসিম অবস্থা ক্রোয়েশিয়া মিডফিল্ডের। নাম লামিনে য়ামাল। রেকর্ড গড়লেন ইউরো কাপে। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে খেলার নজির স্প্যানিশ তরুণের। বয়স ১৬ বছর ৩৩৮ দিন। লামিনের রেকর্ডের দিনে ক্রোয়েশিয়ার মতো ধারাবাহিক ভালো খেলা টিমকে ৩-০ ব্যবধানে হারাল স্পেন।
গত বারের ইউরোতেও তরুণ দল গড়ে সাফল্য পেয়েছিল স্পেন। যদিও কাতার বিশ্বকাপে সেই স্ট্র্যাটেজি কাজে আসেনি। স্বাভাবিক ভাবেই এই স্ট্র্যাটেজি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন তৎকালীন কোচ লুইস এনরিকে। কাতার বিশ্বকাপের পরই পদ ছাড়তে বাধ্য হন। দায়িত্ব দেওয়া হয় বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলকে কোচিং করানো লুই দে লা ফুয়েন্তেকে। তাঁর কোচিংয়ে প্রথম বড় অ্যাসাইনমেন্ট। তিনি তারুণ্য এবং অভিজ্ঞতার মিশেলে দল গড়ে শুরুটা দুর্দান্ত করলেন।
ক্রোয়েশিয়া দলে লুকা মদ্রিচের মতো তারকা ফুটবলার। গুয়ার্দিওলের মতো অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার। এ ছাড়া মাঝমাঠে অভিজ্ঞ ব্রোজোভিচ, কোভাসিচরা রয়েছেন। শুধু অভিজ্ঞতা দিয়ে যে ম্যাচ জেতা যায় না! লামিনে গোল না করলেও করালেন। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ফুটবল বিশ্বের নজর কাড়লেন। ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে প্রথমার্ধেই তিন গোল করে স্পেন। দ্বিতীয়ার্ধে সুযোগ তৈরি হলেও গোল আসেনি।
ম্যাচের ১২ মিনিটেই এগিয়ে যায় স্পেন। ক্যাপ্টেন আলভারো মোরাতার দুর্দান্ত রান। তেমনই চোখ ধাঁধানো পাস ফ্যাবিয়ান রুইজের। আলভারো মোরাতা কোনও ভুল করেননি দলকে এগিয়ে দিতে। প্রথম গোলে অ্যাসিস্ট। ৩২ মিনিটে পেদ্রির অ্যাসিস্টে গোল সেই ফ্যাবিয়ান রুইজের। তবে এই ম্যাচে বাড়তি নজর ছিল সর্বকনিষ্ঠ লামিনের দিকে। কোচের ভরসার মর্যাদা দিয়েছেন। প্রথমার্ধের অ্যাডেড টাইমে শর্ট কর্নার স্পেনের। নিজেদের মধ্যে পাস-পাস-পাস। লামিনে প্রথম পোস্ট নিশানা করে বল পাঠান, তাতে টোকা দিয়ে গোল কার্ভাহালের।
ভাগ্যও সঙ্গ দেয়নি ক্রোয়েশিয়াকে। পেনাল্টি মিস, ভিআরএ গোল বাতিল, এসব হতাশা নিয়েই ইউরো অভিযান শুরু লুকা মদ্রিচদের। লিগ পর্বে একটা হার মানে অনেকটা পিছিয়ে পড়া। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য পরিকল্পনা বদলে নামতে হবে মদ্রিচদের।