জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা, গর্বের শেষ আফগানিস্তানের

ম্যাক্সওয়েল ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি আফগানিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জেতার পরিস্থিতিতে ছিল তারা। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের জোড়া ক্যাচ মিস হয়। এর মধ্যে শর্ট থার্ডে মুজিবের ক্যাচ একেবারে হাতে ছিল। এ দিনও প্রোটিয়াদের বেশ চাপে ফেলেছিল আফগানিস্তান। তবে আন্দিলে পেখলুকায়োর ক্যাচ ফসকান খোদ অধিনায়ক হসমতউল্লাহ শাহিদি। রাসি ভ্যান ডার ডুসেনের মতো সেট ব্যাটার ক্রিজে। ফলে উল্টোদিক থেকে পরপর উইকেট নিয়ে চাপ বাড়ানোর সুযোগ ছিল আফগানিস্তানের। সেটা হল না। শেষ দিকে ম্যাচটা জমল এটুকু বলা যায়।

এর আগের দুটি বিশ্বকাপে প্রাপ্তি তেমন কিছুই ছিল না। তেইশের বিশ্বকাপেও হার দিয়ে অভিযান শুরু হয়েছিল আফগানিস্তানের। শেষটাও হল হার দিয়ে। মাঝে বেশ কিছু গৌরবের মুহূর্ত। আমেদাবাদে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগানিস্তান অধিনায়ক হসমতউল্লাহ শাহিদি। রান তাড়ায় বেশি সাবলীল দেখিয়েছিল তাদের। গত ম্যাচে ডিফেন্ড করেই হার। এই ম্যাচেও ডিফেন্ড করে হার। প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভার ব্যাট করলেও ২৪৪ রানে অলআউট আফগানিস্তান। আক্ষেপ থাকতে পারে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের। বিশ্বকাপে আরও সেঞ্চুরিয়ন পেতে চলেছিল আফগানিস্তান ক্রিকেট। ৯৭ রানে অপরাজিত থাকেন ওমরজাই।

গত ম্যাচে ভারতের বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে মাত্র ৮৩ রানে অলআউট হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম্যাচে প্রোটিয়া ব্যাটিংয়ে নজর ছিল। রানের গতি ঠিক থাকলেও নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। না হলে ম্যাচ আরও আগেই জিততে পারত। ফর্মে থাকা কুইন্টন ডি’কক ৪১ রান করেন। অবদান রেখেছেন অনেকেই। আলাদা করে বলতে হয় রাসি ভ্যান ডার ডুসেনের কথা। আন্দিলে পেখলুকায়োকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। রাসির অবদান অপরাজিত ৭৬ রান। ১৫ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটে জয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − twelve =