লো-স্কোরিং ম্যাচে বাংলাদেশকে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা

নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম। আরও একটা রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ। আগের দিন এই মাঠে ভারত-পাকিস্তান মহারণ দেখা গিয়েছে। বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচও রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা। কঠিন পিচে ব্যর্থ টপ অর্ডার। হেনরিখ ক্লাসেন এবং ডেভিড মিলারের দুর্দান্ত লড়াই। ক্লাসেন ৪৪ বলে ৪৬ রান করেন। মিলারের অবদান ৩৮ বলে ২৯। শেষ অবধি নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১১৩ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই রান যথেষ্ঠ নয়। যদিও আগের দিন ভারত যে ভাবে ১১৯ রানের পুঁজি নিয়েও জিতেছিল, তেমন কিছুরই চেষ্টায় ছিল প্রোটিয়া শিবির।

মার্কিন মুলুকে বিশ্বকাপের খেলাগুলিতে একটা জিনিষ পরিষ্কার হয়েছে। বিশেষ করে নিউ ইয়র্ক ভেনুতে। বড় শট না খেলে সিঙ্গল ও ডাবলসে স্কোরবোর্ড সচল রাখা সেরা উপায়। বাংলাদেশ ব্যাটাররা শুরু থেকে সেটাই মিস করেন। সৌম্য সরকারকে বাদ দিয়েই এ দিন একাদশ গড়েছিল বাংলাদেশ। তাতেও লাভ হল না। টপ অর্ডার ফের ব্যর্থ। অনরিখ নর্টজে সাকিবকে ফেরাতেই ম্যাচ থেকে ক্রমশ হারিয়ে যায় বাংলাদেশ। তৌহিদ হৃদয় এবং রিয়াধের লড়াইও ব্যর্থ।

শেষ দু-ওভারে বাংলাদেশের টার্গেট দাঁড়ায় ১৮ রান। বাংলাদেশ ক্রিকেটে মিস্টার ফিনিশার হিসেবে পরিচিত মাহমুদুল্লা রিয়াধ তখনও ক্রিজে। স্বাভাবিক ভাবেই জয়ের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। শেষ ওভারে টার্গেট দাঁড়ায় ১১। সুপার ওভারের পরিস্থিতিও ছিল। শেষ ওভারে বোলিংয়ে কেশব মহারাজ! নিঃসন্দেহে মাস্টারস্ট্রোক প্রোটিয়া ক্যাপ্টেন এইডেনের। তৃতীয় বলেই জাকির আলিকে ফিরিয়ে প্রোটিয়া শিবিরে জয়ের গন্ধ পাইয়ে দেন।

সেরা অনুভূতি পঞ্চম ডেলিভারিতে। ফুলটস বলে ছয় মারার চেষ্টায় বাউন্ডারি লাইনে মার্কব়্যামের দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরেন মাহমুদুল্লাহ। শেষ বলে ৬ রান প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। যদিও তা আর হয়নি। শেষ বলে আবারও ফুলটস। মাত্র ১ রান। ৪ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় প্রোটিয়াদের। জয়ের হ্যাটট্রিকে সুপার এইটের দৌড়ে এক পা ফেলে রাখল দক্ষিণ আফ্রিকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − eight =