পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুরে। আগ্নেয়াস্ত্র সহ দুই দুষ্কৃতিকে গ্রেপ্তারও করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর থানার পুলিশ। রবিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বারুইপুর থানার পুলিশ চম্পাহাটি এলাকায় অভিযান চালানো বারুইপুর থানার পুলিশ। সেখান থেকেই জাহাঙ্গীর লস্কর ও শহিদুল মণ্ডল নামে দুই কুখ্যাত দুষ্কৃতিকে গ্রেপ্তারও করা হয়। বারুইপুর পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সেভেন এম এম পিস্তল, ছয় রাউন্ড তাজা কার্তুজ, দু’টি ম্যাগাজিন, দুটি ন্যাপলা সহ অন্যান্য ডাকাতির সরঞ্জাম। এছাড়াও ধৃতদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হয় বেশ কিছু প্রসাধনী সামগ্রী। এই অস্ত্র কী কারণে মজুত করেছিল দুষ্কৃতীরা সে বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
তবে বারুইপুর পুলিশ আধিকারিকদের প্রাথমিক অনুমান, কোনও ডাকাতির উদ্দেশে এই অস্ত্র মজুত করা হয়েছিল। তবে এই দুই ধৃতের সঙ্গে কোনও অস্ত্রপাচার চক্রের যোগাযোগ আছে কিনা সে ব্যাপারে খোঁজখবর শুরু করেছে পুলিশ। ধৃত দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও বড় তথ্য পাওয়া যাবে বলে ধারণা পুলিশের।
প্রসঙ্গত, এর আগেও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা থেকে এর আগেও একাধিকবার বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার হয়। গত নভেম্বর মাসে বারুইপুরের পাঠাগার এলাকায় নাকা চেকিং শুরু করে পুলিশ। তাতেই ধরা পড়ে অস্ত্রসহ ১ ব্যক্তি। তার কাছ থেকে ৩টি ওয়ান শটার ও ১ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়। এর পর ধৃতকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসবাদ করতেই জানা যায়, ধৃত ব্যক্তি অস্ত্র কারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এরপর ডিসেম্বর মাসেও প্রচুর পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা তৈরির উপকরণ উদ্ধার করা হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা থেকে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় কাশিপুর থানার পুলিশ। উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র ও প্রচুর বোমা বানানোর সামগ্রী। সঙ্গে মেলে পাঁচটি সকেট বোমা, একটি এক নলা বন্ধুক, একটি কার্তুজ, ১৫ কেজি বোমা বানানোর বারুদ,বোমা বানানোর নানা সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি। ঘটনায় গ্রেফতার হয় নজরুল মোল্লা ও তাঁর ছেলে শামসুদ্দিন রহমান নামে দুজনকেও। এই কারণেই ধৃত দুই দুষ্কৃতীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তে এগোতে চাইছে বারুইপুর পুলিশ।