সৌরভ ত্রিপুরার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়ায় তরজা শুরু শাসক-বিরোধীদের

বিজেপি শাসিত ত্রিপুরার পর্যটন বিভাগের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হচ্ছেন মহারাজ। আর এই ইস্যুতেই শাসক-বিরোধী তরজায় তপ্ত বাংলা। ইতিমধ্যেই সৌরভের বাড়ি গিয়ে দেখা করেছেন ত্রিপুরার পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। এদিকে এবার সৌরভকে কলকাতার শেরিফ পদে বসানোর দাবি জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। পাশাপাশি শাসক দলকে তাঁর কটাক্ষ, তৃণমূল সরকার সৌরভকে ধরে রাখতে পারেনি। আর তারই প্রত্যুত্তরে তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংদ সৌগত রায় জানান, টাকা পেয়েছেন, তাই ত্রিপুরায় গিয়েছেন সৌরভ।
ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক পরবর্তীকালে ক্রিকেটের প্রশাসক পদেও নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন। লড়াকু সৌরভকে রাজ্যের মুখ করার প্রস্তাব দিয়েছিল ত্রিপুরার বিজেপি সরকার। সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে এবার ত্রিপুরার পর্যটন দফতরের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হন তিনি। তবে ত্রিপুরার প্রস্তাবে সম্মতির পরই সৌরভের রাজনীতিতে আসার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন অনেকেই।
এদিকে ত্রিপুরার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়া নিয়ে সৌগত রায়ের বক্তব্য, ‘সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে এখন আর সরাসরি ক্রিকেটের সম্পর্ক নেই। বিজ্ঞাপন করেই কোটি কোটি টাকা রোজগার করেছেন তিনি।’ একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘আমার মনে হয় না এর কোনও রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে। অবসরের পর সৌরভ বিজ্ঞাপন করে কোটি কোটি টাকা রোজগার করছেন। আরেকটা রোজগার করার জায়গা হয়েছে। সৌরভের সঙ্গে এখন ক্রিকেটের সম্পর্ক কম। রাজনীতির সম্পর্ক আরও কম। ওকে ত্রিপুরার লোকেরা ধরেছে। হয়তো বলেছে এত টাকা দেব। তাই উনি করছেন।’
এদিকে সৌরভ ইস্যুতে সরব বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শাসকদলকে বিদ্ধ করে তিনি জানান, ‘বাংলার সরকারেই উচিত ছিল তাঁকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বানানোর। বাংলার সরকার বানায়নি। ত্রিপুরাতেও তো বাঙালি থাকে। বাঙালিরই ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছেন।’ এরই পাশাপাশি বিজেপির রাজ্য সভাপতি এও দাবি করেন, ‘এই মুহূর্তে কলকাতা কর্পোরেশনে কোনও শেরিফ নেই। ওই পদ ফাঁকা রয়েছে। সেই পদে সৌরভকে বসানো হোক। তাতে আমরা সৌরভকে সম্মান দেওয়ার সুযোগ যতটুকু হারিয়েছি, তা কিছুটা হলেও পূরণ করতে পারব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 3 =