চন্দ্রযানের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে চিপ তৈরিতে অবদান সৌম্যর, উচ্ছ্বাস খাতড়ায়

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: ভারতের চন্দ্রযান ৩ মিশনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে এক বাংলার বিজ্ঞানীর নাম। তিনি সৌম্য সেনগুপ্ত। চন্দ্রযান ৩-রû গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত চিপ তৈরি করার ক্ষেত্রে চণ্ডীগড়ের সেমি কন্ডাক্টর ল্যাবরেটরিতে যে বিজ্ঞানীরা হাত লাগিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম বাঁকুড়ার সৌম্য সেনগুপ্ত। স্বাভাবিক ভাবে চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান সফল ভাবে অবতরণ করতেই উচ্ছ্বাসে মেতেছে সৌম্যর পরিবার, স্কুল, বন্ধু বান্ধব ও আত্মীয়স্বজনরা।
ছোট থেকেই সৌম্যর জীবন ছিল লড়াইয়ের। বাবা রবীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত দুর্গাপুরের এক স্টিল প্ল্যান্টে চাকরি করলেও সৌম্যর ছোটবেলা কেটেছে বাঁকুড়ার খাতড়াতেই। খাতড়ার কংসাবতী শিশু বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৯ সালে মাধ্যমিক পাশ করেন সৌম্য। তবে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার আগেই বাবা ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে পড়ায় পরিবারে ঝড় শুরু হয়। এরই মাঝে পড়াশোনা করে দুর্গাপুর এ জোন বয়েজ হাইßুñল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন সৌম্য। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিদ্যায় স্নাতক ও আইএসএম ধানবাদ থেকে স্নাতকোত্তরে উত্তীর্ণ হয়েû মুম্বই আইআইটি থেকে গবেষণা করে ডক্টরেট ডিগ্রি পান। পরে পোস্ট ডক্টরেট গবেষণার জন্য আমেরিকা গেলেও, বাবা মারা যাওয়ায় মাঝপথেই তা ছেড়ে দিয়ে দেশে ফিরে চণ্ডীগড়ের সেমি কনডাক্টর ল্যাবরেটরিতে গবেষণার কাজে যোগ দেন।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দ্রযান ২-র পাশাপাশি চন্দ্রযান৩-র মিশনেও অংশ রয়েছে সৌম্যর। ইসরোকে চন্দ্রযান ৩-র যন্ত্রাংশ হিসাবে আনবোর্ড প্রসেসর তৈরি করে দিয়েছিলেন যাঁরা, তাঁদের মধ্যে সৌম্যও একজন। এই আনবোর্ড প্রসেসরই রকেটের যাবতীয় গতিবিধির নিয়ন্ত্রক। চন্দ্রযান ৩ মিশন সফল হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবে কৃতিত্বের অংশীদার সৌম্যও। এমন একটা মিশনে ঘরের ছেলের ভূমিকা থাকায় গর্বিত সকলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − nine =