ব্যারাকপুর: ব্যারাকপুর ওয়ারলেস মোড়ে বিরিয়ানির দোকানে গুলি চালানোর ঘটনায় হায়দরাবাদ থেকে ধরা পড়ল শুটার সোনু রাজভর ওরফে বেঙ্গা। সে কাঁকিনাড়ার বাসিন্দা। ঘটনার দিন বাইকে চেপে তিন জন ওই বিরিয়ানির দোকানে গুলি চালিয়েছিল। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, সোনু গুলি চালিয়ে হায়দরাবাদ পালিয়ে গিয়েছিল। সেখানে আত্মগোপন করলেও শেষরক্ষা হয়নি। ২৪ বছরের সোনুকে পাকড়াও করে ট্রানজিট রিমান্ডে শুক্রবার ব্যারাকপুরে আনা হয়। ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে বাকি দুজনের খোঁজ চালাবে তদন্তকারীরা। শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের জয়েন্ট সিপি ( ক্রাইম ) অজয় ঠাকুর জানান, এই গুলি কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দমদম জেলে বসেই ওই বিরিয়ানি দোকানের মালিক বাপি দাসকে তোলা চেয়ে হুমকি দিয়েছিল সুজিত। টিটাগড়ে মনীশ শুক্লা খুনের কেসেকর আসামী এই সুজিত। বাইকে চেপে সেদিন তিন জন এসে শুট আউট করে। তাদের মধ্যে সোনু রাজভরও ছিল। সোনুই ওই বিরিয়ানির দোকানে গুলি চালিয়েছিল। দমদম জেলে থাকাকালীন সোনুর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছিল সুজিতের। কিন্তু তোলা দিতে অরাজি থাকায় দোকান মালিককে চমকানোর জন্য জেলে বসে সুজিতই সোনুকে নিয়োগ করেছিল। জেলের মধ্যে মোবাইল ব্যবহার প্রসঙ্গে অজয়বাবু জানান, মাঝে মধ্যেই তল্লাশি চালিয়ে জেল থেকে মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়। প্রসঙ্গত, গত ১৬ মে ভরদুপুরে ব্যারাকপুর ওয়ারলেস মোড় লাগোয়া ব্যারাকপুর-বারাসাত রোডের ওপর অবস্থিত ওই বিরিয়ানির দোকানে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে চম্পট দিয়েছিল তিন দুßৃñতী। ঘটনার তদন্তে নেমে মোহনপুর থানার পুলিশ অভিষেক ঝাঁ নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে। গত ২৩ মে কাঁকিনাড়ার বাসিন্দা রাহুল বর্মাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ওইদিনই দমদম জেল থেকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নেয় সুজিত রায়কে।