সংসদের বিশেষ অধিবেশনে ৯টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করার আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিলেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধি। ওই ৯টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য সময় বরাদ্দ করার আর্জিও জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে। সোনিয়ার প্রস্তাবিত ৯টি বিষয়ের মধ্যে রয়েছে মূল্যবৃদ্ধি, মণিপুর সঙ্কট, এমনকী আদানি বিতর্কও।
Here is the letter from CPP Chairperson Smt. Sonia Gandhi ji to PM Modi, addressing the issues that the party wishes to discuss in the upcoming special parliamentary session. pic.twitter.com/gFZnO9eISb
— Congress (@INCIndia) September 6, 2023
পাঁচদিনের অধিবেশনে মণিপুর হিংসা এবং কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক-সহ ৯টি বিষয়ে আলোচনার দাবি জানাচ্ছে বিরোধীরা। কংগ্রেস নেত্রী লিখেছেন, ‘অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে কোনও পরামর্শ ছাড়াই এই বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। এর অ্যাজেন্ডা সম্পর্কে আমাদের কারও কোনও ধারণা নেই। আমরা শুধু জানি, পাঁচ দিনই সরকারি কাজের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।’ তবে, বিরোধীদের তোলা বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনার জন্য সময় বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন সোনিয়া।
কংগ্রেস পরিষদীয় দলের তরফে এই চিঠি দেওয়া হলেও মনে করা হচ্ছে, বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার বার্তাও এই চিঠিতে রয়েছে। চিঠিতে দেশে ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি)-সহ কৃষকদের একাধিক দাবির প্রেক্ষিতে সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেগুলির বাস্তব রূপায়ণ না হওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এর পাশাপাশি, মণিপুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়া, হরিয়ানার মতো দেশের বেশ কিছু রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হওয়া নিয়েও আলোচনার দাবি তোলা হয়েছে। শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থায় নানা অনিয়ম এবং তা নিয়ে সরকারের ‘নিষ্ক্রিয়তা’ নিয়েও অভিযোগ জানিয়ে সংসদে আলোচনার দাবি তোলা হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, জাতগণনা বা কাস্ট সেনসাসও রয়েছে চিঠিতে উল্লিখিত ৯টি বিষয়ের মধ্যে।
এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রীকে লেখা সোনিয়া গান্ধির চিঠিটির বিষয়ে জানান কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। তিনি জানান, বিশেষ অধিবেশনের আগে, মঙ্গলবার রাতে আসন্ন বিশেষ অধিবেশনে কংগ্রেসের রণনীতি স্থির করা নিয়ে কংগ্রেস সংসদীয় দলের এক বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে মল্লিকার্জুন খাড়গে, সোনিয়া গান্ধিরা উপস্থিত ছিলেন। তারপর, খাড়গের বাসভবনে ইন্ডিয়া জোটের সংসদীয় নেতাদের আরও এক বৈঠক হয়। সেখানেই, স্থির হয় সোনিয়া গান্ধি একটি চিঠি দিয়ে বিরোধীদের দাবিগুলি জানাবেন প্রধানমন্ত্রীকে। জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেন, এই প্রথমবার সংসদের অধিবেশনের অ্যাজেন্ডা তালিকাভুক্ত করা হয়নি।