সংসদের পাঁচ দিনের বিশেষ অধিবেশনের আগে বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিলেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধি। ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর যে বিশেষ অধিবেশন বসার কথা সংসদে তার আগে এই চিঠিতে সনিয়া গান্ধি জানালেন, সরকারের পক্ষ থেকে বিরোধীদের এই বিশেষ অধিবেশনের কোনও অ্যাজেন্ডা জানানো হয়নি। তাই, পাঁচদিনের অধিবেশনে মণিপুর হিংসা এবং কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক-সহ ৯টি বিষয়ে আলোচনার দাবি জানাচ্ছে বিরোধীরা। একইসঙ্গে কংগ্রেস নেত্রী এও লেখেন, ‘অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে কোনও পরামর্শ ছাড়াই এই বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। এর অ্যাজেন্ডা সম্পর্কে আমাদের কারও কোনও ধারণা নেই। আমরা শুধু জানি এই পাঁচ দিন সরকারি কাজের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।’ এরই পাশাপাশি বিরোধীদের তোলা বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনার জন্য সময় বরাদ্দের দাবিও এই চিঠিতেই জানিয়েছেন সনিয়া। সঙ্গে সনিয়া এও জানান, কংগ্রেস এই বিশেষ অধিবেশনে অংশ নিতে চায়। কারণ, এই অধিবেশন জনগণের উদ্বেগের বিষয়গুলি উতথাপন করার বড় সুযোগ। এরপরই তিনি ৯টি বিষয় আলোচনার জন্য তালিকাভুক্ত করেছেন। এই বিষয়গুলি হল, মূল্যবৃদ্ধি, এমএসপি-সহ কৃষকদের দাবি, আদানি ইস্যুতে যৌত তদন্ত কমিটি, মণিপুর হিংসা, হরিয়ানার হিংসা, চিন সীমান্তের উত্তেজনা, জাতি-ভিত্তিক জনগণনা, কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক এবং কয়েকটি রাজ্যের সাম্প্রতিক বন্যা। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে সনিয়া এও জানান, ‘আশা করি, গঠনমূলক সহযোগিতার চেতনা থেকে এই বিষয়গুলি নিয়ে আসন্ন বিশেষ অধিবেশনে আলোচনা হবে।’
এদিকে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রীকে লেখা সনিয়া গান্ধির এই চিঠির বিষয়ে জানান কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। তিনি জানান, বিশেষ অধিবেশনের আগে, মঙ্গলবার রাতে আসন্ন বিশেষ অধিবেশনে কংগ্রেসের রণনীতি স্থির করা নিয়ে কংগ্রেস সংসদীয় দলের এক বৈঠক হয়। এই বৈঠকে মল্লিকার্জুন খাড়গে, সনিয়া গান্ধীরা উপস্থিত ছিলেন। তারপর, খাড়্গের বাসভবনে ইন্ডিয়া জোটের সংসদীয় নেতাদের আরও এক বৈঠক হয়। সেখানেই, স্থির হয় সনিয়া গান্ধী একটি চিঠি দিয়ে বিরোধীদের দাবিগুলি জানাবেন প্রধানমন্ত্রীকে। জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেন, এই প্রথমবার সংসদের অধিবেশনের অ্যাজেন্ডা তালিকাভুক্ত করা হয়নি।