ভোলাকে বাঁচাতে মরিয়া সোনামুখীবাসী, ফোন ‘দিদিকে বলো’তে

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: ভোলাকে বাঁচাতে প্রাণপণে মরিয়া সোনামুখীবাসী।
ভোলা সারাদিনব্যাপী আপনমনে ঘুরে বেড়ায় সোনামুখী পুর শহরের এদিক থেকে ওদিক। যে যা দেয় খুশি মনে খেয়ে সবাইকে যেন হাসিমুখে ‘ভালো থেকো’ এই বার্তা যেন দিয়ে যায়। আজ ভোলা মৃত্যু শয্যায়, তাকে বাঁচাতে মরিয়া সোনামুখীর মানুষ। তাঁরা চান, সে আবারও খোলা আকাশের নীচে ঘুরে বেড়াক। তবে এ ‘ভোলা’ কোনও মানুষ নয়, এ হল একটি ষাঁঢ়, যাকে সোনামুখীর সকল বাসিন্দারা ‘ধর্মের ষাঁঢ়ের’ আখ্যা দিয়েছেন। সোনামুখী পুর শহরে ১৩ নম্বর ওয়ার্ড অমর নগর এলাকা ভোলার অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র।
কিছুদিন আগে সোনামুখীতে বাঁকুড়া বর্ধমান রাজ্য সড়কে একটা পথ দুর্ঘটনার জেরে ভোলার কোমর ভেঙে যায়, সে এখন হাঁটতে চলতে পুরোপুরি অক্ষম হয়ে পড়েছে। তাই তাকে বাঁচাতে উদ্যোগী হয়েছে আপামর জনগণ। রোজ তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন এক হাজার টাকা, কিন্তু তা মিলবে কোথায়? তাই এলাকার বাসিন্দারা সবার কাছে সাধ্য মতো সাহায্যের আর্জি জানাচ্ছেন, বাসিন্দাদের তরফ থেকে ‘দিদিকে বলো’ তেও ফোন করা হয়েছে বলেই তাঁদের দাবি। ইতিমধ্যেই অন্যত্র নিয়ে গিয়ে ভোলাকে উন্নতমানের চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা করছেন অমর নগর এলাকার বাসিন্দারা।
সবারই এখন একটাই দাবি, সুস্থ হয়ে যাক দেবাদিদেব মহাদেবের বাহন। আবারও সোনামুখীবাসীর ‘ধর্মের ষাঁঢ়’ খোলা আকাশের মুক্ত হয়ে বিচরণ করুক সে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × four =