আদালতকে অসম্মান করতে গিয়ে নিজেদেরকেই অসম্মান করছেন’: বিচারপতি মান্থা

নাম না করে শুক্রবার তৃণমূলের এক নেতাকে সবক শেখালেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। কালিয়াগঞ্জের মামলায় হাইকোর্টের তরফ থেকে সিট গঠন করা হয়েছে বৃহস্পতিবার। আর তা নিয়ে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি। প্রসঙ্গত, সিটের সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে আইপিএস দময়ন্তী সেন, প্রাক্তন আইপিএস উপেন বিশ্বাস ও আর এক প্রাক্তন পুলিশ কর্তা পঙ্কজ দত্তের নাম। আর এখানেই আপত্তি শাসক শিবিরের একাংশের। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ তো প্রশ্নই তুলে দেন, কীসের ভিত্তিতে সিটের সদস্যদের বেছে নেওয়া হল, তা নিয়ে।
প্রসঙ্গত, কালিয়াগঞ্জের নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের মামলার তদন্তে আপিএস দময়ন্তী সেন সহ অবসরপ্রাপ্ত আরও দুই আইপিএস কে রেখে সিট গঠন করেছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। শুক্রবার মামলা চলাকালীন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, বিচারপতির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিবৃতি দিয়েছেন এক রাজনৈতিক নেতা। তাঁর দাবি, আদালত স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করুক। বিচারপতি জানান, প্রয়োজনে আবেদন করলে আদালত তা বিবেচনা করবে। তবে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হবে না। এই প্রসঙ্গেই বিচারপতি মান্থা বলেন, ‘নিজেরা যদি নিজেদের সম্মান নষ্ট করেন, তাহলে কোর্ট কী করবে। আদালতকে অসম্মান করতে গিয়ে কেউ কেউ যে নিজেদের অসম্মান করছেন, সেটা তাঁরা বুঝতে পারছেন না বা বুঝেও সেটাই করে চলেছেন। কোর্ট তো আলাদা আলাদা করে সবাইকে বিধি শেখাবে না।’ তবে এই প্রসঙ্গে এজলাসে সামনে আসেনি কুণাল ঘোষ বা অন্য কোনও নেতার নাম।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সিটের সদস্য হিসেবে দুই প্রাক্তন আইপিএসের নাম সামনে আসার পর তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘আদালতের কাছে যদি টিভির প্যানেলে মুখ দেখানো ও সরকারের বিরোধিতা করাটা বিচার্য বিষয় বলে গন্য হয় তাহলে খুবই দুঃখিত। রাজ্যের যদি প্রাক্তন আইপিএসদেরই খোঁজ করতে হবে, তাহলে রাজ্যে অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস কি কম পড়িয়াছিল?’ যিনি বর্তমান পুলিশের সমালোচনা করেন, তাঁকে কেন সিটের সদস্য করা হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কুণাল ঘোষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − 13 =