মঙ্গলবারেও ভিজল মহনগরীর কিছু অংশ এবং শহরতলিও

মঙ্গলবারেও ভিজল মহানগরীর কিছু অংশ। একসঙ্গে আশপাশের শহরতলিতেও হয় ঝড়-বৃষ্টি। এদিন বিকেলের দিকে ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে। এরই পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও নদিয়া জেলাতেও বিক্ষিপ্তভাবে ঝড়-বৃষ্টি হয়। এদিকে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে বারবার সতর্ক করা হচ্ছে বজ্রপাত নিয়ে। বজ্রপাতের সময়ে মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে। পাশাপাশি ১৯ জুন পর্যন্ত ভয়ানক বজ্রপাতের সতর্কতাও জানানো হয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে। সতর্কতা জারি হয়েছে অতি ভয়াবহ মুহুর্মুহু জীবননাশী ‘ক্লাউড টু গ্রাউন্ড’ বজ্রপাতের।
এদিকে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আরব সাগরের বুকে ফুঁসতে থাকা ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ তার ল্যান্ডফলের আগেই গুজরাত উপকূলে তাণ্ডব লীলা চালাতে শুরু করেছে। যদিও ঘূর্ণিঝড়ের ল্যাণ্ডফল হতে এখনও একদিন বাকি আছে। তার আগেই উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র। সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। মৌসম ভবন সূত্রে খবর, আগামী ১৫ জুন গুজরাতের কচ্ছ উপকূলে আছড়ে পড়বে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। সেই সময় হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১২৫ থেকে ১৫০ কিলোমিটার। কেবলমাত্র আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কবার্তই নয়, গুজরাতের কচ্ছ উপকূলে এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। কোনও উপকূলবর্তী এলাকায় এবং সমুদ্র পাড়ে জমায়েত করা যাবে না। ১৬ জুন পর্যন্ত জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। পাশাপাশি মৌসম ভবন থেকে এও জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘূর্ণিঝড়টি কচ্ছ জেলার জাখাউ বন্দরের কাছে আছড়ে পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। তার জেরে ১৪ জুনও প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হবে গুজরাতে। ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তায় বিশেষভাবে অ্যালার্ট করা হয়েছে গুজরাতকে। কচ্ছ, পোরবন্দর, দেবভূমি দ্বারকা, জামনগর, জুনাগড়, মোরবি এলাকায় এই ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা। এই সমস্ত জেলায় উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সমস্ত বন্দর সংলগ্ন এলাকায় অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 + 3 =