নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সংবাদ শিরোনামে গত কয়েদিন হল ঘোরাফেরা করছে সোমা চক্রবর্তীর নাম। সঙ্গে এও জানা গেছে, তিনি দক্ষিণ কলকাতার একটি পার্লারের মালকিন। পাশাপাশি বিধাননগরেও তাঁর একটি পার্লার রয়েছে। তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষের সঙ্গে এই সোমার যোগ রয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। কুন্তলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সোমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে বলে তদন্তে জানতে পেরেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকেরা। এরপই ইডি- দপ্তরে ডাক পড়ে সোমার। সেই ডাকে হাজিরাও দিতে হয় সোমাকে। আর এখানেই ইডি-র তরফে এও দাবি করা হচ্ছে, এবার মুখ খুলছেন সোমাও। ফলে ইডির হাতে উঠে আসছে নয়া তথ্য।
ইডি সূত্রে খবর, ২০১৯ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে কুন্তলের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ঢুকেছিল সোমার অ্যাকাউন্টে। ১০ থেকে ২০ বার টাকা ঢুকেছিল সোমার অ্যাকাউন্টে বলেই সূত্রের খবর। সোমাকে ফের তলব করেছে ইডি। আগামী শুক্রবার ফের সোমাকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে কুন্তলের অ্যাকাউন্ট থেকে সোমার অ্যাকাউন্টে ৫০ লক্ষ টাকার লেনদেন হয় বলে ইডি সূত্রে উঠে আসে। তবে এখন ইডি সূত্রে পাওয়া খবর, টাকা গিয়েছে আরও। ইডি সূত্রে খবর, সোমা তদন্তকারীদের কাছে দাবি করেছেন, ২০১৫ সাল থেকে তাঁর পার্লারের ব্যবসা। ২০১৯ সাল থেকে কুন্তলের কাছ থেকে ঋণ নেন তিনি। ব্যবসা বাড়ানোর জন্য বিনা সুদে ঋণ নিয়েছিলেন বলেও তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। তবে এখনও সেই টাকা ফেরত দিতে হয়নি।
যদিও ইডি-র আধিকারিকদের ধারনা, কোথাও কোনও সত্যি লুকনোর চেষ্টা করছেন সোমা। কুন্তল নিয়োগ দুর্নীতির টাকাই তাঁর কাছে পাঠিয়েছেন। কুন্তলের যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, সেখানে প্রায় ৬.৫ কোটি টাকা ছিল। সেই অ্যাকাউন্ট থেকেই টাকা গিয়েছিল বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। প্রসঙ্গত, ওই ৬.৫ কোটি টাকা নিয়োগ দুর্নীতির বলে আগেই আদালতে দাবি করেছিল ইডি। যদিও কুন্তল ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন, তাঁর সঙ্গে সোমার কোনও সম্পর্ক নেই। সোমাকে নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কুন্তলের বক্তব্য ছিল, ‘আমি জানি না। আমার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই, যার সঙ্গে যোগাযোগ আছে খুঁজে দেখুন।‘