হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যে শিক্ষক পদে নিয়োগ বাতিল হল ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। নিয়োগ বাতিল হওয়ায় রাজ্যজুড়ে ভোটের আগে ক্ষোভ বাড়বে বলে সূত্রের খবর। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এই সিদ্ধান্ত বড় ধাক্কা তা নিঃসন্দেহে, তবে সবথেকে বেশি চিন্তার ২০১৬ সালের প্যানেলে যে সমস্ত শিক্ষকরা এতদিন চাকরি করেছেন তাদের বেতন সুদ সহ ফেরত দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। তবে নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেওয়াই চাকরিপ্রার্থীদের আশার আলো কিছুটা হলেও রইল।
রাজ্যে শুধুমাত্র বীরভূমের নলহাটির সোমা দাসের চাকরি বহাল থাকার ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। রাজ্যে যখন ২০১৬ সালের সমস্ত প্যানেলে প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ে বাতিল, তখন শুধুমাত্র সোমা দাসের চাকরি বহাল কিন্তু তা সত্ত্বেও পুরোপুরি খুশি নন সোমা। সংবাদমাধ্যমে নলহাটি ১ নম্বর ব্লকের মধুরা হাই স্কুলের বাংলার শিক্ষিকা সোমা দাস বলেন, চাকরিতে দুর্নীতি হয়েছে তা প্রমাণিত কিন্তু যে জন্য আন্দোলন সেই আন্দোলনে প্রকৃতযোগ্য প্রার্থীরা চাকরি পেলে তবেই ভালো লাগবে।
পাশাপাশি তিনি বলেন, তিনি যোগ্য প্রার্থী এবং পরীক্ষা দিয়েছিলেন এবং পরীক্ষায় পাশও করেছিলেন কিন্তু পাশ করা সত্ত্বেও ও মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশে আদালতের নির্দেশে ব্লাড ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার জন্যই তিনি চাকরি পেয়েছেন এই দাগ তার কপালে সারা জীবন থেকে গেল। আর সোমার যুক্তি চাকরি ক্ষেত্রে নৈতিকতা বজায় খুবই জরুরি ২০১১ এবং ২০১৬ এই দুটি বছরেই এসএসসি পরীক্ষা প্যানেল হয়েছে তারপর আর হয়নি ফলে দীর্ঘদিন ধরে চাকরি প্রার্থীদের অবস্থা নাজেহাল এবং এর জন্য চাকরি নিয়ে যারা কালোবাজারি করেছেন তারা যেমন দায়ী, পাশাপাশি শিক্ষকতার আদর্শকে কালিমা লিপ্ত করে নৈতিকতাকে বিসর্জন দিয়ে যারা অন্যায়ভাবে চাকরি নিয়েছিলেন এইসব ভুয়ো চাকরিপ্রার্থীদের আজকের এই পরিণতি। আর এর ফল ভোগ করতে হচ্ছে হাজার হাজার যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের। আদালতের নির্দেশে সমস্ত প্যানেল বাতিল হলেও অনেকেই মনে করছেন কিছু চাকরি প্রার্থী হয়তো অসৎ পথ অবলম্বন করলেও কিছু যোগ্য প্রার্থী ছিলেন যারা প্রকৃতই চাকরি পাবার যোগ্য। কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় সমস্ত প্যানেল বাতিল করায় কিছু শিক্ষক যে বেকায়দায় পড়লেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।