কুন্তল পার্লার মালিক সোমা চক্রবর্তীকে না চেনার দাবি করলেও শুক্রবার ইডি দপ্তর থেকে বেরিয়ে একেবারে উল্টো কথা জানালেন সোমা। এদিন তিনি স্বীকার করে নেন কুনলকে চিনতেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, একইসঙ্গে বলেন, বনি-কৌশানির সঙ্গেও তাঁর পরিচয়ের কথা। সোমা এদিন যা জানান, তাঁর মূল নির্যাস হল, ‘২০১৭ সালের মাঝামাঝি কুন্তলের সঙ্গে পরিচয় হয় আমার। তবে ২০১৮ সালের পর থেকে আর কোনও যোগাযোগ ছিল না। ভাল বন্ধু হিসাবেই পরিচয় ছিল।’ একইসঙ্গে সোমা এও জানান, ‘২০১৭ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০১৮ সাল অবধি সাত-আট মাসে একটা লেনদেন হয়। ৫০ লক্ষ টাকার কাছাকাছি দিয়েছিলেন কুন্তল। আমার বিজনেস আছে। আমার সোর্সিং লাগে। তাই টাকা নিয়েছিলাম। তবে এর বাইরে আর কোনও টাকা নিইনি।’ তবে সোমা এদিন এও জানান, ২০১৭ সালে কুন্তলের সঙ্গে পরিচয় হয় সোমার। কিন্তু কোথায়, কীভাবে পরিচয় তা আজ আর মনে নেই বলেই দাবি সোমার। একইসঙ্গে তিনি জানান, কুন্তল তাঁর পার্লারে কখনও আসেনি। ব্যবসায়িক কোনও সম্পর্কও নেই তাঁদের।
এরই রেশ ধরে সোমা এও জানান, তাঁর পার্লারের প্রমোশনের জন্য বনি-কৌশানির সঙ্গে যোগাযোগ হয়। এই যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষই। আর এই প্রসঙ্গে সোমার বক্তব্য, ‘ব্র্যান্ড প্রমোশনের জন্যই বনি, কৌশানির সঙ্গে যোগাযোগ করি। তবে তারপর আর ব্যক্তিগত কোনও সম্পর্ক তৈরি হয়নি। কুন্তলই যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিল আমাদের।’ তবে এই ব্র্যান্ড প্রমোশনের টাকা কুন্তল দিয়েছিলেন কিনা সে ব্যাপারে মুখে কুলুপ আঁটেন সোমা। তবে এই মুহূর্তে বড়সড় একটা আফশোস কাজ করছে সোমার। বলেন, ‘ কুন্তলের সঙ্গে জড়িত থাকার জেরে এত যে হ্যারাস হচ্ছি, খারাপ লাগছে।‘ এখন কুন্তলের সঙ্গে পরিচয় হওয়া নিয়ে অনুশোচনাও হচ্ছে তাঁর। এদিকে ইডি ইতিমধ্যেই সোমার কাছ থেকে জানতে চেয়েছে, কীভাবে কুন্তলকে তিনি চেনেন, কেন টাকা নিয়েছিলেন। তদন্তে তিনি সবরকম সহযোগিতা করছেন বলেই জানান।