করোনা কালে প্রথম ডিজিটাল শিক্ষার ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছিল। গ্রামাঞ্চলে প্রত্যন্ত এলাকায় বহু পরিবারের পক্ষেই যেখানে বই, খাতা কেনাটা কষ্টসাধ্য সেখানে পড়াশোনার জন্য স্মার্টফোন কেনাটা কার্যত দুঃস্বপ্ন ছিল। কিন্তু শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যেতেই অনলাইন শিক্ষার প্রসারে ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে রাজ্যের প্রতিটি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে ট্যাব কিংবা স্মার্টফোন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। কারণ, করোনা কালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনলাইনে পড়াশোনা চলছিল অধিকাংশ ক্ষেত্রে। পড়ুয়াদের সুবিধার্থে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। যার মাধ্যমে সরাসরি পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয় টাকা। তবে এবার থেকে দ্বাদশ নয়, মাধ্যমিক পাশের পরই মিলবে ট্যাব বা স্মার্টফোন। অর্থাৎ একাদশ শ্রেণিতে উঠলেই পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে যাবে টাকা। এর জন্য ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করেছে রাজ্য। মাদ্রাসাগুলোর জন্যও বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্য বাজেটে। বলা হয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাসমেত অত্যাধুনিক পাঠক্রম প্রণয়নের মাধ্যমে ধাপে ধাপে মাদ্রাসাগুলোকে উন্নত করা হবে। যার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। এছাড়া মিড-ডে মিলের রাঁধুনি ও সাহায্যকারীদের বেতনে ৫০০ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্য বাজেটে বলা হয়েছে, আগে মাসে ১০০০ টাকা করে ১০ মাস টাকা পেতেন রাঁধুনি ও হেল্পাররা। এবার থেকে প্রতিমাসে অতিরিক্ত ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে ২ লক্ষ ৩০ হাজার জনকে। যার জন্য বরাদ্দ ১৪০ কোটি টাকা।