পুরসভার অনুমতি ছাড়াই প্রাচীন সৌধের অদূরে লজ নির্মাণ, ভেঙে ফেলার নোটিস দিল বিষ্ণুপুর পুরসভা 

বিষ্ণুপুর: অদূরেই রয়েছে পুরাতত্ত্ব দপ্তরের সংরক্ষিত মন্দির জোড় বাংলা। পাশেই রয়েছে প্রাচীন সৌধ গুমগড়। আর তারই মাঝে নিয়ম ভেঙে গড়ে তোলা হয়েছিল বিশাল আকারের লজ। বুধবার এবার সেই লজ ভেঙে ফেলার নোটিস জারি করল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পুরসভা। পুরসভার দাবি, অনুমতিবিহীন ভাবে ওই লজ গড়ে তোলা হয়েছে।
পুরাতত্ত্ব বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও প্রাচীন সৌধের একশো মিটারের মধ্যে নির্মাণ করা যায় না। দু’শো মিটারের মধ্যে নির্মাণ করতে হলে সেক্ষেত্রে অনুমতি লাগে পুরাতত্ত্ব বিভাগের। সে সব নিয়ম কানুনকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এককালের মল্ল রাজধানী বিষ্ণুপুরের প্রাচীন সৌধ গুমগড়ের পাশেই তৈরি করা হয় একটি দোতলা লজ। পুরাতত্ত্ব বিভাগ জানিয়েছে, বিষ্ণুপুরের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী সংরক্ষিত মন্দির জোড় বাংলা থেকে ওই নির্মাণের দূরত্ব প্রায় ৭৫ মিটার। এমন জায়গায় কীভাবে গড়ে উঠল নির্মাণ। বিষ্ণুপুর পুরসভার দাবি, তাঁদের তরফেও নির্মাণের কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিষয়টি নজরে আসার পর ২০২১ সালে তৎকালীন নির্মীয়মান লজ কর্তৃপক্ষকে নির্মাণকাজ বন্ধের নোটিস দেয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ। পরবর্তীতে পরপর দু’বার লজ কর্তৃপক্ষকে নোটিস দেয় বিষ্ণুপুর পুরসভাও। কিন্তু তারপরও নির্মাণ কাজ বন্ধ তো দূরে থাক নির্মাণ কাজ সম্পূর্ন করে পূর্ণ মাত্রায় লজ চালু করে দেয় কর্তৃপক্ষ। লজ কর্তৃপক্ষকে তৃতীয়বার নোটিস দিয়ে বিষ্ণুপুর পুরসভা জানিয়ে দেয় আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ওই নির্মাণ ভেঙে ফেলতে হবে। নতুবা পুর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুরসভার তরফে কর্মীরা ওই লজে গিয়ে নোটিস টাঙিয়ে দেয়। লজের কর্মীরা নোটিস প্রাপ্তির কথা স্বীকার করলেও লজ নির্মাণের বৈধতা নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 3 =