বাংলার জন্য কিছুটা ভাল খবর। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং (Cyclone Sitrang) যাবে বাংলাদেশ অভিমুখেই। মঙ্গলবার সকালে পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়বে সিত্রাং। মৌসম ভবন জানাচ্ছে, বাংলাদেশের তিনকোনা দ্বীপ ও সন্দ্বীপের মধ্যে হবে ল্যান্ডফল।
ফলে এ যাত্রায় বিপর্যয় বাংলার কান ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে বলেই আশা।তবে উদ্বেগ রয়েছে উপকূলের জেলাগুলিতে। অমাবস্যার ভরা কোটালের জন্য বাঁধ ভাঙার সম্ভহনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ঝোড়ো হাওয়ায় ক্ষতির আশঙ্কা উপকূলের তিন জেলায়। বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে। বাকি জেলায় ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা নেই। এথনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হয়েছে গভীর নিম্নচাপ। দফায় দফায় শক্তি বাড়িয়ে তা পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড়ে।
কালীপুজো, দীপাবলির আবহে দুর্যোগের আশঙ্কায় অবশ্য সবরকমভাবে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে পুজো কমিটিগুলিকে। পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আমফানের মতো পরিস্থিতি হলে, বহু গাছ উপড়ে পড়লে আমাদের তা সরাতে দু’ তিন দিন সময় লাগবে। আমরা যতটা পারছি আগাম সতর্কতা নিচ্ছি। আমরা সব ব্যবস্থা রাখছি।”
অন্য দিকে, বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান, বিদ্যুৎ দপ্তর সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত এই দুর্যোগ মোকাবিলায়। ইতিমধ্যেই সমস্ত কর্মীদের সঙ্গে বিধাননগরের বিদ্যুৎভবনে বৈঠক করেছেন তিনি। সিত্রাং-এর পূ্র্বাভাসের পর সমস্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সমস্ত কাস্টমার কেয়ার ও সাবস্টেশন গুলি দিন ও রাতে কাজ করবে।