মাত্র ১৫৯ রানের পুঁজি নিয়ে ম্যাচ জেতা যায় না। এত কম রানের পুঁজি নিয়ে ম্যাচ জিততে হলে চোখ ধাঁধানো বোলিংয়ের প্রয়োজন। ফলে শনিবার আর জেতা হল না লখনউয়ের। তবে বোলিংয়ে শুরুটা লখনউ ভালো করলেও পঞ্জাব কিংসের সিকান্দারের রাজকীয় ইনিংস চাপে ফেলে তাঁদের। এখানে একটা কথা বলতেই হয়, আইপিএল অভিষেকে নজর কাড়লেন লখনউয়ের পেসার যুধবীর সিং। তবে যুধবীর আর কতক্ষণ লড়বেন। যোগ্য সঙ্গত দেওয়ার মতো কেউই ছিল না লখনউয়ের তরফ থেকে। ফলে শিখর ধাওয়ান এদিন না থাকলেও ১৬০ রানের লক্ষ্য পেরোতে খুব বেশি সমস্য়া হয়নি পঞ্জাব কিংসের। সিকান্দার রাজার অনবদ্য ইনিংস-ই পঞ্জাবকে ম্যাচে রাখে। এরই মাঝে ম্যাচের শেষ দিকে ছিল টানটান উত্তেজনা। নাটকীয় রূপ নিল ম্যাচ। শেষ ওভারে পঞ্জাবের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৭ রান। সিকান্দার এক রাজকীয় ইনিংস খেললেও ম্যাচ ফিনিশ করতে পারলেন না। ৪১ বলে ৫৭ রানে ফেরেন প্যাভিলিয়নে ফেরেন রাজা। আইপিএলে প্রথম খেলছেন জিম্বাওয়ের এই অলরাউন্ডার। অবশেষে প্রথম অর্ধশতরানের ইনিংস তাঁর ব্যাটে।
তবে এটা বলতেই হবে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ৭৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে যান লখনউ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। এককথায় ক্যাপ্টেনস নক। তবে সতীর্থরা তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিতে একেবারেই ব্যর্থ। প্রশংসা প্রাপ্য পঞ্জাব সুপার কিংস বোলিং লাইন আপের। ধাওয়ান চোটের কারণে না থাকায় তাঁর অনুপস্থিতিতে পঞ্জাবকে নেতৃত্ব দেন স্যাম কারান। বোলার বদল থেকে ফিল্ডিং, নেতৃত্বে নজর কাডে়ন স্যাম কারান। তাঁর ব্য়ক্তিগত পারফরম্য়ান্সও প্রশংসনীয়। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন স্য়াম কারান। একটা সময় অবধি তাঁর সিদ্ধান্ত ভুল মনে হচ্ছিল। কারণ, লোকেশ রাহুল-কাইল মেয়ার্সের ওপেনিং জুটিতে যোগ হয় ৫৩ রান। পাওয়ার প্লে-তে কোনও উইকেট হারায়নি লখনউ। এরপরই আসে একের পর এক ধাক্কা। যার জেরে লোকেশ রাহুল এক দিক আগলে রাখলেও বড় জুটি হয়নি। পরপর ফেরেন কাইল মেয়ার্স ও দীপক হুডা। একই ওভারে পরপর দু-বলে ক্রুনাল পান্ডিয়া ও নিকোলাস পুরানকে ফিরিয়ে লখনউয়ের চাপ বাড়ান কাগিসো রাবাডা। ১৯তম ওভারে ফেরেন লোকেশ রাহুল। ৫৬ বলে ৭৪ রানের প্রশংসনীয় ইনিংস করলেও অন্যেদর ব্যর্থতায় বড় স্কোর গড়তে ব্যর্থ লখনউ সুপার জায়ান্টস। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৫৯ লখনউয়ের। পঞ্জাব কিংসের দুই পেসার স্যাম কারান এবং কাগিসো রাবাডা দুর্দান্ত বোলিং করেন। স্য়াম ৩১ রান দিয়ে ৩ উইকেট এবং রাবাডা ৩৪ রানে ২ উইকেট নেন।