গায়ক-রাজনীতিবিদ সিধু মুসেওয়ালা খুনের ঘটনায় এবার সামনে এল পাক যোগের তত্ত্ব। সূত্রে এ খবরও মিলছে, এই খুনের পরিকল্পনা উত্তরপ্রদেশে। আর এই খুনের সময় ব্যবহৃত অস্ত্র এসেতে পাকিস্তান থেকে এমনটাই দাবি তদন্তকারীদের। এরই পাশাপাশি মুসেওয়ালা খুনে জড়িতদের বেশ কয়েকটি ছবিও সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে।
তাতে দেখা গেছে খুনের বেশ কয়েকদিন আগে পর্যন্ত অভিযুক্তরা অযোধ্যা ও লখনউতে ঘুরে বেড়িয়েছে। সূত্র মারফৎ জানা গেছে যে মুসেওয়াল খুনে যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, ছবিতে দেখা যাচ্ছে তাদেরও। সূত্রের এ খবরও মিলছে, বিষ্ণোই গ্যাংয়ের শার্পশুটার হিসেবে পরিচিত শচিন বিষ্ণোই, শচিন ভিওয়ানি এবং কপিল পণ্ডিতের দেখা মিলেছে এই ছবিগুলোতে।
এখানে বলে রাখা শ্রেয়, খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে এদের মধ্যে শচিন বিষ্ণোইকে কয়েদিন আগে আজারবাইজান থেকে প্রত্যার্পণ করা হয়। বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে সে। এছাড়া শচিন ভিওয়ানি এবং কপিল পণ্ডিতের খোঁজে রয়েছেন তদন্তকারীরা। প্রকাশিত ছবিতে শচিন বিষ্ণোই সহ তিনজনের কাছেই দেখা গেছে আধুনিক পিস্তল সহ বিদেশি অস্ত্র। অত্যাধুনিক এই অস্ত্রগুলি পাকিস্তান থেকে আমদানি করা হয়েছিল বলে ধারণা। মুসেওয়ালা খুনে এই অস্ত্রগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল বলে তদন্তকারীরা নিশ্চিত।
এদিকে সূ্ত্রে খবর, খুনের আগে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্যরা বেশ কয়েকদিন অযোধ্যার একটি খামারবাড়িতে গা ঢাকা দিয়েছিল। সেখানে তারা অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে গুলি চালানোর অনুশীলনও চালায়। আর এই খামারবাড়িটি বিকাশ সিং নামে স্থানীয় এক নেতার। এদিকে, এই ছবিগুলি হাতে পাওয়ার পর মুসেওয়ালা খুনের যাঁরা তদন্ত করছেন তাঁরাও তৎপর হয়েছেন। তদন্তকারীদের অনুমান, উত্তরপ্রদেশে আরও বেশ কয়েকজন বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সহযোগী গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে বলে অনুমান তাদের। সেই কারণেই অভিযুক্তদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। সহযোগীদের খোঁজে প্রয়োজনে শচিন বিষ্ণোই-কে নিয়ে তল্লাশি চালানো হতে পারে বলেও জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে লরেন্স বিষ্ণোই এবং গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অস্ত্র ব্যবসায়ী ধর্মনজ্যোত সিং কাহলনকে ক্যালিফোর্নিয়ায় আটক করা হয়েছে। মুসেওয়ালা খুনে ধৃত ব্যবসায়ীর কোনও যোগ আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। লরেন্স ও ব্রার দু’জনেই পঞ্জাবি গায়ক খুনে অভিযুক্ত। লরেন্সকে গ্রেফতার করা হলেও, গোল্ডি ব্রার কানাডায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে বলে অনুমান। প্রসঙ্গত, গত বছর ২৯ মে পঞ্জাবের মানসা জেলায় প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হয়েছিল সিধু মুসেওয়ালাকে। খুনের কয়েকদিন আগে মুসেওয়ালার নিরাপত্তা প্রত্যাহার করেছিল পঞ্জাব সরকার। তারই জেরে এই খুন বলে সেই সময় ভগবন্ত মান সরকারকে নিশানা করেছিল বিরোধীরা।