টাকা লেনদেনের ঘটনায় অয়নকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন শ্বেতা

২০ এপ্রিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফ থেকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছিল অয়ন ঘনিষ্ঠ শ্বেতা চক্রবর্তীকে। কারণ, নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় ইডি-র স্ক্যানারে রয়েছেন অয়নের সঙ্গে শ্বেতাও। ইডির তরফ থেকে যে দাবি করা হচ্ছে, তাতে অয়ন শীলের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। পাশাপাশি এও দাবি করা হচ্ছে যে, গত কয়েক বছরে শ্বেতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লেনদেন হওয়া এই টাকার পরিমাণ প্রায় ৪ কোটি। তবে কোটি টাকার এই লেনদেনের দায় বন্ধু অয়নের ওপরই চাপিয়েছেন শ্বেতা।
ইডি সূত্রে খবর, শ্বেতা তাঁর নামে থাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কথা মেনে নিলেও জানিয়েছেন ওই অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ ছিল অয়নের হাতেই। ফলে ওই অ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে বা সেই টাকার উৎস কী তা তিনি জানেন না। ইডি সূত্রে দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির টাকাই পরিবার পরিজনদের পাশাপাশি বান্ধবীর অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ঘুরিয়েছিলেন অয়ন। শ্বেতার অ্যাকাউন্টে লেনদেন হওয়া টাকাও দুর্নীতির বলেই দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। তবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা টাকার দায় শ্বেতা অয়নের ঘাড়ে ঠেললেও, তাঁর গাড়ি ও বাড়ির দিকেও নজর রয়েছে গোয়েন্দাদের।
এদিকে এর আগে শ্বেতা অবশ্য জানিয়েছিলেন, চুঁচুড়ায় যে ফ্ল্যাট রয়েছে শ্বেতার তা অয়নের কাছ থেকেই তিনি তার বৈধ কাগজপত্রও রয়েছে তাঁর কাছে। আর এই ফ্ল্যাট কেনার সময় অয়নকে টাকাও দিয়েছেন শ্বেতা। তবে ফ্ল্যাটটা তিনি যে রেজিস্ট্রি করেননি তাও জানান তিনি। তার পিছনেও রয়েছে কারণ। আর তা হল, ওই ফ্ল্যাট ছেড়ে পরবর্তীকালে চলেও আসেন শ্বেতা। যেহেতু শ্বেতা রেজিস্ট্রি করেননি সেই কারণে ৫৫ লক্ষ টাকা শ্বেতার অ্যাকাউন্টে ফেরত দেন অয়ন। এরই পাশাপাশি শ্বেতা এও দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আনা হচ্ছে, কোনওটাই সত্যি নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 − five =