ফের একবার হতাশা নিয়ে ফিরে আসছে বাংলা। চলতি মরশুমে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির পর এবার বিজয় হাজারে ট্রফিতেও ব্যর্থ বঙ্গব্রিগেড। প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে গুজরাটকে হারালেও, হরিয়ানার সামনে আর এঁটে উঠতে পারল না সুদীপ ঘরামির দল। প্রথমে বল হাতে ম্যাজিক দেখালেন যুজবেন্দ্র চাহাল। এবং পরে রান তাড়া করতে নেমে অঙ্কিত কুমারের ১০২ এবং রাহুল তেওয়াটিয়ার অপরাজিত ২১ রানের সৌজন্যে বাংলাকে চার উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে চলে গেল হরিয়ানা। ফলে জলে গেল শাহবাজ আহমেদের লড়াকু শতরান।
বড় মঞ্চে বাংলার ব্যাটাররা ব্যর্থ হন। অতীতের এই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি এবারও ঘটল। নকআউট ম্যাচে চাপের মুখে ফের একবার তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল বঙ্গ ব্যাটিং। মাত্র ২২৫ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার পর, অঙ্কিত ১০২ রানের ইনিংস খেলেন। ব্যাটারদের পর বোলাররাও বিপক্ষের উপর চাপ ধরে রাখতে পারলেন না। ফলে খালি হাতে প্রতিযোগিতা থেকে ফিরে আসছে বাংলা। কারণ শাহবাজের শতরান ছাড়া কেউই বলার মতো রান পেলেন না রাজকোটের ব্যাটিং সহায়ক বাইশ গজে। বলা যায়, ১০০ রানে ইনিংসের জন্যই সম্মানজনক রান স্কোরবোর্ডে তুলেছিল বঙ্গব্রিগেড।
কোয়ার্টার ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলার। ৯৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলার ইনিংসকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিল শাহবাজের শতরান। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে তিনি রুখে দাঁড়াতে না পারলে বাংলার ইনিংস অনেক আগেই গুটিয়ে যেত। বিপক্ষে চাহাল, হর্ষল প্যাটেলের মতো বোলার থাকলেও, চাপের মুখে চুপসে না গিয়ে লিস্ট এ ক্রিকেটে সেরে ফেললেন তৃতীয় শতরান। ১১৮ বলে তাঁর ১০০ রানের ইনিংসে রয়েছে ৪টি করে চার এবং ছক্কা।