বৃষ্টির কারণে আধঘণ্টা দেরিতে শুরু হয় দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ফাইনালের লক্ষ্যে মুখোমুখি আইপিএলের সবচেয়ে সফল দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও গত বারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স। হাইভোল্টেজ ম্যাচ যেমন হয়…। তরুণদের পারফরম্যান্স নজর কাড়ার মতোই। প্রশ্ন ছিল, গুজরাট টাইটান্স টানা দ্বিতীয় বার ফাইনালে উঠবে নাকি সপ্তম ফাইনালে মুম্বই! শুভমন গিলের ১২৯ রানের সৌজন্যে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ২৩৪ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয় গুজরাট টাইটান্স। একটা সময় অবশ্য এই রানও মুম্বইয়ের ধরাছোঁয়ার মধ্যেই মনে হচ্ছিল। আস্কিং রেট তখন ১৪-র মতো। কিন্তু ক্রিজে সূর্যকুমার যাদব থাকায় প্রত্যাশা ছিল। তবে মোহিত শর্মার একটা ওভার কার্যত একপেশে ম্যাচ করে দিল। টাইটান্সের দেওয়া ২৩৪ রানের লক্ষ্য। মুম্বইয়ের একটা দারুণ শুরুর প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ঈশান কিষাণের কনকাশনে ধাক্কা খায় মুম্বই। ফিল্ডিংয়ের সময়ই কনকাশনে মাঠ ছেড়েছিলেন ঈশান কিষাণ। তাঁর পরিবর্তে নামেন বিষ্ণু বিনোদ। রোহিতের সঙ্গে ওপেন করেন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নেহাল ওয়াদেরা। যদিও শুরু ভালো হয়নি মুম্বইয়ের। পাওয়ার প্লে স্পেশালিস্ট মহম্মাদ সামি নিজের প্রথম দু ওভারেই উইকেট নেন। দ্রুত চাপে পড়ে আইপিএলের সবচেয়ে সফল দল। ভরসা দেন সূর্য ও তরুণ ব্যাটার তিলক ভার্মা। মাত্র ২০ বলে অর্ধশতরানের জুটি গড়েন তিলক ভার্মা ও স্কাই। এর মধ্যে সামির এক ওভারে তিলক তোলেন ২৪ রান! পাওয়ার প্লে-র পঞ্চম এবং সামির তৃতীয় ওভার। প্রথম চার বলেই বাউন্ডারি। পঞ্চম বলে ২ রান নিয়ে শেষ বলে বিশাল ছয়। কিন্তু জুটি দীর্ঘস্থায়ী হল না। পাওয়ার প্লে-র শেষ বলে তিলককে ফেরান রশিদ খান। ক্যামেরন গ্রিন ফিল্ডিংয়ের সময়ও চোটে মাঠ ছেড়েছিলেন। ব্যাটিংয়ে ফের চোট পান। পরে নামেন এবং স্কাইয়ের সঙ্গে অনবদ্য জুটি গড়েন। ম্যাচের রং বদলে দেন মোহিত শর্মা। ইনিংসের ১৫তম ওভারে বোলিংয়ে আনা হয় অভিজ্ঞ মোহিত শর্মাকে। তৃতীয় বলে ফেরান বিধ্বংসী সূর্যকুমার যাদবকে। এই ওভারেই ফেরান ঈশানের পরিবর্তে নামা বিষ্ণু বিনোদকেও। সূর্য আউট হতেই জয়ের গন্ধ পেতে থাকে টাইটান্স। ১৮.২ ওভারেই ১৭১ রানে অলআউট মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। মোহিত শর্মা মাত্র ১৪টি বল করেন। এর মধ্যে ৯টি ডট বল। সব মিলিয়ে ১৪ বলে ১০ রান দিয়ে ৫ উইকেট মোহিতের। মুম্বই ইনিংসে সূর্যর ৩৮ বলে ৬১ রান ও তিলকের ১৪ বলে ৪৩ রানের অনবদ্য ইনিংস। রবিবার চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ফাইনাল খেলবে টাইটান্স।