রোজ ভ্যালি কাণ্ডে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিল ইডি। আর এই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটেই সামনে এল গৌতম-ঘরণী শুভ্রা কুণ্ডুও। সূত্রে খবর, এই চার্জশিটে নাম রয়েছে গৌতম কুণ্ডু, সুদীপ্ত রায় চৌধুরী, শিবময় দত্ত, অমিত বন্দ্যোপাধ্যাযের। একইসঙ্গে ৪০টি সংস্থার নামও রয়েছে এই চার্জশিটে। শুভ্রা কুণ্ডু রোজভ্যালির কালো টাকা অন্য ব্যবসায় খাটিয়ে সাদা করেছিল বলে অভিযোগ আনা হয়েছে ওই চার্জশিটে। প্রসঙ্গত, রোজভ্যালির বিরুদ্ধে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। ইডি এবং সিবিআই, দুই সংস্থাই এই রোজ ভ্যালি কাণ্ডের তদন্ত করছে। এদিকে গৌতম কুণ্ডুর পাশাপাশি এই মামলায় তৃণমূলের দুই সাংসদকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এই দুজন হলেন প্রয়াত তাপস পাল এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয় বিস্তর চাপানউতোর।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে রোজ ভ্যালি দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্ত শুরু করে ইডি। ২০১৪ সালের মে মাসে রোজভ্যালি কাণ্ডের তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। এরপরই ইডি এবং সিবিআই এই দুই তদন্তকারী সংস্থাই রোজ ভ্যালির একাধিক অফিসে লাগাতার হানা দেয়। হাতে আসে বেশ কিছু গুরুত্বপর্ণ তথ্য। অভিযান চলেগৌতম কুণ্ডুর বাড়ি, অফিসের পাশাপাশি শুভ্রা কুণ্ডুর বাড়িতেও। এই সমস্ত অভিযানেই দফায় দফায় রোজ ভ্যালি গোষ্ঠীর বিভিন্ন হোটেল, বেশ কিছু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ডিমান্ড ড্রাফটের সন্ধান পান ইডির আধিকারিকরা। হাতে আসতে শুরু করে বেআইনি লেনদেন সংক্রান্ত একাধিক তথ্য। বাজেয়াপ্ত করা হয় কয়েশো কোটি টাকার সম্পত্তি। এদিকে এই সব তথ্য়ের ভিত্তিতে রোজ ভ্যালি কাণ্ডে ২০১৫ সাল থেকে জেলে রয়েছেন গৌতম কুণ্ডু। এদিকে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হন গৌতম-ঘরণীও।