লখনউকে হারালেন শ্রেয়স আইয়াররা

মুসকুরাইয়ে আপ হ্যায় লখনউ মেখ। এই হাসিটা কে হাসবেন, সেটাই ছিল প্রশ্ন। আইপিএলের বাকি ভেনুর তুলনায় লখনউতে বোলারদের জন্য সুবিধা রয়েছে। পরিসংখ্যানও তাই বলছে। তবে এ বার পিচ কেমন আচরণ করবে, পুরোপুরি অনুমান করা যাচ্ছিল না। টস জিততেই বড় স্বস্তি ছিল শ্রেয়সের। কোনওরকম সময় নষ্ট না করেই রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। ক্যাপ্টেনের সিদ্ধান্তে দুর্দান্ত সহযোগিতা করেন পঞ্জাবের বোলাররা। লখনউ শেষ দিকে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়। ১৭২ রানের টার্গেট দেয় পঞ্জাব কিংসকে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী সেটা ম্যাজিক নম্বরই ছিল। কিন্তু পরিসংখ্যান যে শেষ কথা নয়, তার অন্যতম উদাহরণ পঞ্জাবের বড় জয়। ৮ উইকেটে জিতলেন শ্রেয়স আইয়াররা।
পরিস্থিতি দু-দলের কাছেই অচেনা ছিল। লখনউও ঘরে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছে। তাদের অলরাউন্ডার শার্দূল ঠাকুর বোর্ডের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন এমন পিচের, যেখানে বোলারদের জন্যও সুবিধা থাকবে। লখনউয়ের পিচে বোলারদের জন্য সুবিধা ছিল। পঞ্জাব পেসাররা তার ভরপুর ফায়দা তুলেছেন। লাইন-লেন্থে নজর কেড়েছেন। শুরুতেই বেশ কিছু উইকেট হারানোয় অস্বস্তি বেড়েছিল লখনউয়ের।
লখনউ সুপার জায়ান্টসের বোলিং আক্রমণ তুলনামূলক অনভিজ্ঞ। প্ল্যান অনুযায়ী যে পারফর্ম করতে পারেনি লখনউ বোলারদের দেখে পরিষ্কার ধরা পড়েছে। সঠিক লাইন-লেন্থ বুঝে উঠতে পারেননি তাঁরা। পঞ্জাব শুরুতে তরুণ ওপেনার প্রিয়াংশের উইকেট হারালেও চাপ পড়েনি। তার কারণ, তিনে ছিলেন অভিজ্ঞ ব্যাটার এবং ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার। একদিক থেকে প্রভসিমরন যখন দ্রুত রান তুলেছেন, শ্রেয়স ইনিংস অ্যাঙ্কর করেছেন। সময় নিয়ে, পরিস্থিতি বুঝে রানের গতি বাড়িয়েছেন।
এই জায়গাতে চূড়ান্ত ব্য়র্থ বলতে হয় লখনউ অধিনায়ক ঋষভ পন্থকে। দলের বিপদের পরিস্থিতিতে নেমেছিলেন। সময় নিয়ে ইনিংস গড়তে পারতেন। কিন্তু তাঁর জন্য় ফাঁদ পাতেন শ্রেয়স ও ম্যাক্সওয়েল। আর তাতেই পা দেন ঋষভ। নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে তৃতীয় ম্যাচ খেললেন। ব্যাট হাতে তিন ম্যাচেই ব্যর্থ। শ্রেয়স আইয়ারের বুদ্ধিদীপ্ত ক্যাপ্টেন্সি, পরিকল্পনামাফিক ব্যাটিং। লখনউকে আদব সে হারালেন শ্রেয়স আইয়াররা। ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত সহযোগিতা করলেন প্রভসিমরন ও নেহাল ওয়াদেরা। ক্যাপ্টেনও হাফসেঞ্চুরি করলেন। তবে বোলাররাই যে অ্যাডভান্টেজে রেখেছিল পঞ্জাবকে, বলাই যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 2 =