গৌতম গম্ভীর আবার ফিরেছেন নাইট সংসারে। তাঁর থেকে ভালো কেকেআরকে আর কে চেনে। ফিরেই রদবদলের পথে হাঁটতে শুরু করে দিয়েছেন। বহুদিনের পুরনো ওপেনার সমস্যা নাকি মিটেছে। এ বার যাঁকে ঘিরে কেকেআরের সাফল্যের ছক সাজাবেন, তাঁকেও বেছে ফেললেন গম্ভীর। বেগুনি জার্সিতে আবার নেতা হয়ে ফিরছেন শ্রেয়স আইয়ার। ২০২২ সালের আইপিএল মরসুমে শ্রেয়সকেই নেতা করা হয়েছিল। কিন্তু গত মরসুমে চোটের কারণে আইপিএল থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছিল মুম্বইয়ের ক্রিকেটারকে। তাঁর বদলে নীতীশ রানা কেকেআরের ক্যাপ্টেন্সি সামলান। অভিজ্ঞতা কম, তাই সাফল্যও আসেনি। গম্ভীর এসেই শ্রেয়সকে ফেরানের তাঁর মসনদে।
গত আইপিএলে নীতীশকে অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল টিমের। শ্রেয়স আইয়ার যে কেকেআরের আগামী মুখ, সেটাও পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে। তাঁর চোট সত্ত্বেও নতুন নেতার খোঁজে কেকেআর কখনও নামেনি। গম্ভীরও দিল্লির প্রাক্তন ক্যাপ্টেনকে যথেষ্ট পছন্দ করেন। তিনি মেন্টর হয়ে আসার পর শ্রেয়সের সঙ্গে বেশ কয়েক দফা আলোচনাও করেছেন। কীভাবে সাজানো হবে টিম, নিলামে কাদের দিকে নজর রাখা হবে, এই সমস্ত সিদ্ধান্তই শ্রেয়সকে সঙ্গে নিয়েই গৌতম নিয়েছেন। গম্ভীরের টার্গেট কেকেআরকে আবার ট্রফির আলোয় ফেরানো। আর সেটা যে শ্রেয়সের মতো অভিজ্ঞ এবং পরিণত ব্যাটার ও ক্যাপ্টেনই করতে পারেন, ভালোই জানেন কেকেআর মেন্টর। নীতীশকে নেতৃত্বের দায় থেকে মুক্ত করা হলেও শ্রেয়সের ডেপুটি রেখে দেওয়া হল।
শ্রেয়স বলেছেন, ‘গত মরসুমে আমাদের একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছিল। চোটের কারণে আমার ছিটকে যাওয়া তার মধ্যে একটা। আমার অবর্তমানে নীতীশ চমৎকার ক্যাপ্টেন্সি করেছে। শুধু তাই নয়, সামনে থেকে দলের নেতৃত্ব দিয়েছিল। ওকে ভাইস ক্যাপ্টেন হিসেবে রেখে দেওয়ায় আমি যথেষ্ট খুশি। এতে আখেরে আমাদের টিমেরই লাভ হল।’