দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকার (Shraddha Walker) খুনের ঘটনা নিয়ে এখন তোলপাড় গোটা দেশ। খুনের প্রায় ছয় মাস পরে এই হাড়হিম করা ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। এবার এই ঘটনার তদন্ত শুরু হতেই পুলিশের হাতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। এবার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’ বছর আগেই এরকম পরিণতির আন্দাজ করতে পেরেছিল শ্রদ্ধা ওয়াকার।
বুধবার তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, দু’ বছর আগেই আফতাবের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন শ্রদ্ধা। ফ্ল্যাটে শ্রদ্ধার উপর আফতাব শারীরিক অত্যাচার চালাত বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁকে মারার চেষ্টাও করেছিল আফতাব। মহারাষ্ট্রের ভাসাইতে এই মর্মে ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন শ্রদ্ধা। সেই চিঠিতে শ্রদ্ধা আরও লিখেছিলেন, ‘ওর বাবা-মা জানতেন ও আমাকে মারে এবং আমাকে খুনও করতে চায়। তাঁরা জানেন আমরা একসঙ্গে থাকছি। সপ্তাহান্তে তাঁরা মাঝে মাঝে এখানে আসেনও।’ সেই চিঠিতেই শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন, তাঁদের বিয়েতে আফতাবের সম্মতি ছিল। খুব তাড়াতাড়ি যেকোনও সময় তাঁদের বিয়ে হতে পারে বলেই শ্রদ্ধা তখনও আফতাবের সঙ্গে ছিলেন। তবে চিঠির শেষে শ্রদ্ধা লিখেছিলেন,’আমি ওঁর সঙ্গে থাকতে চাই না। তাই আমার কোনওরকম ক্ষতি হলে তার পিছনে একমাত্র আফতাবই থাকবে। কারণ ও আমাকে যখনই যেখানে দেখে শুধু মারার হুমকি দেয়।’ আফতাব তাঁকে কেটে টুকরে করে ফেলবে বলে হুমকি দিয়েছিল। শ্রদ্ধার অভিযোগ পেয়ে ভাসাই পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছিল তাও খতিয়ে দেখছেন দিল্লির তদন্তকারীরা।
Shraddha walkar could have been saved if Udhav Thackeray police acted on her complaint.
See the date.
Shame!
Is this is the secularism opposition talks about? pic.twitter.com/sStMV1YMoM
— Gayathri Bandari (@GayathriBDevi) November 23, 2022
উল্লেখ্য, আগেই শ্রদ্ধার বন্ধুরা আফতাবের নৃশংস মারকুটে আচরণের কথা জানিয়েছিলেন। ২০২০ সালে লেখা পুলিশকে লেখা শ্রদ্ধার অভিযোগপত্র বান্ধবীদের বক্তব্যে সিলমোহর দিল। এছাড়াও শ্রদ্ধার হোয়াটাসঅ্যাপ (WhatsApp) ও ইনস্টাগ্রামে (Instagram) পুরনো ছবিতে নাকে-মুখে মারধরের দাগ রয়েছে। যার নেপথ্যে আফতাব বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও এত কিছুর পরেও আফতাবকে খুনি প্রমাণ করা সহজ হবে না বলেই মত সরকারি আইনজীবীর। কেন? কারণ আফতাব আদালতে খুনের কথা স্বীকার করলেও জেলা শাসকের সামনে এই স্বীকারোক্তি করেনি।