সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে গোঘাটে

হুগলি: সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রকাশ্যে চলছে মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য। পুকুর থেকে মাটি জেসিবি করে কেটে ট্রাক্টরে পাচার হচ্ছে অন্যত্র। ঘটনা গোঘাটের পশ্চিমপাড়া পঞ্চায়েতের ভাতশালা এলাকার। সেখানেই প্রায় শতাধিক ট্রাক্টর মাটি প্রতিদিন এই ভাবে পাচার হয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, সেই খবর সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বাধা দেওয়া হয়। এমনকী, গ্রামের লোকজন ডেকে ঘেরাও করে রাখার হুমকি দেওয়া হয়। কয়েকদিন ধরেই ভাতশালা এলাকার একটি পুকুর থেকে অবৈধভাবে জেসিবি দিয়ে মাটি কেটে পুকুরের পাড়ে না ফেলে অন্যত্র পাচারের অভিযোগ উঠেছিল। সেই খবর সংগ্রহ করতে গিয়েই স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের হুমকির মুখে পড়তে হয় সাংবাদিকদের। বৃহস্পতিবার ভাতশালা এলাকায় ঢুকতেই পুকুর পাড়ে থাকা সমস্ত ট্রাক্টর তড়িঘড়ি এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। সেই সময় সাংবাদিকদের দেখে সাময়িক ভয় পেলেও মুহূর্তের মধ্যে হাজির হয় স্থানীয় দুই তৃণমূল কর্মী শেখ হাঁসি ও রমজান মণ্ডল। তারপরেই সাংবাদিকদের ক্যামেরা বন্ধ করার হুমকি দেওয়া হয়। এমনকী গ্রামের লোকজন ডেকে ঘেরাও করে রাখার হুমকি দেয়। তাদের কথাতেই বোঝা গেল, তাদের এই মাটি চুরির ক্ষেত্রে মাথায় হাত রয়েছে একাধিক নেতার। শুধু তাই নয়, রয়েছে সরকারি আধিকারিকদের সমর্থন। সেই প্রভাব খাটিয়ে দেদার চলছে পুকুর থেকে মাটি তুলে অন্যত্র পাচার। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, পুকুরের মাটি, পুকুরের পাড়ে না ফেলে কিভাবে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? কয়েকদিন ধরে ট্রাক্টরের পর ট্রাক্টর মাটি পাচার হলেও, কেন পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল না? তাহলে কি শাসক দলের নেতাদের হাত মাথায় থাকলে সব সম্ভব? যদিও ঘটনায় তৃণমূলের কেউ জড়িত থাকলে ছাড় পাবে না বলে জানান, গোঘাট ২ নম্বর তৃণমূল ব্লক সভাপতি অরুণ ক্যাউড়া। অন্যদিকে ঘটনায় আরামবাগ এসডিপিও অভিষেক মণ্ডলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের পক্ষ থেকেও বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় আধিকারিকরা। তবে এখন দেখার মাটি পাচার রুখতে প্রশাসন কি কঠোর ব্যবস্থা নেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 + 11 =