নওশাদের গ্রেপ্তারির মামলায় হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্য়

আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেপ্তারি মামলায় হাই কোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্যে। বুধবার হাই কোর্টের তরফ থেকে বিচারপতি দেবাংশু বসাক প্রশ্ন করেন, ৬৫ জন মামলাকারীর ভূমিকা রাজ্য সরকার আদৌ প্রমাণ করতে পারবেন কি না তা নিয়েই। একইসঙ্গে এ প্রশ্নও ওঠে, সকলে যে গণ্ডগোলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সেটাই বা জানা গেল কী করে। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি এও বলেন, ‘কোনও ব্যক্তি হয়ত পাশ থেকে হেঁটে যাচ্ছিলেন, সেই সময় গণ্ডগোল শুরু হয়েছে। তিনি হয়ত পাশে দাঁড়িয়েছিল। তাঁর এই গণ্ডগোলে কী ভূমিকা থাকতে পারে?’  এখানেই শেষ নয়, বুধবার শুনানি চলাকালীন এজলাসে বসেই ল্যাপটপে সিদ্দিকির ভাষণের ভিডিও দেখেন তিনি। এরপরই বিচারপতি বসাক রাজ্য়ের কাছে প্রশ্ন রাখেন, ‘পুলিশকে মারতে বলছে সে প্রমাণ কোথায়?’

উত্তরে রাজ্য়ের তরফ থেকে জানানো হয়, ‘সাক্ষীরা বলেছে।’ বিচারপতি আরও প্রশ্ন করেন, ‘কে সাক্ষী? একজন হকার? তিনি কী করে জানলেন? কোনও ভিডিয়ো এখনও অবধি নেই তো?’ পাশাপাশি রাজ্য়ের তরফ থেকে এও জানানো হয়, ভিডিয়ো ও সিসিটিভি ফুটেজ ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। একাধিক সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে বলে ওউল্লেখ করা হয় রাজ্যের তরফে। এখানেই রাজ্যের দাবি, সাক্ষীরাই বলেছে, নওশাদ পুলিশকে আক্রমণের নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ধর্মতলায় অশান্তির ঘটনায় বেশ কিছুদিন আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিক্কিকে। একাধিক মামলায় আপাতত জেলেই রয়েছেন তিনি। জামিনের আবেদন নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইএসএফের বিধায়ক। এদিন কলকাতা হাই কোর্টের দুই বেঞ্চে নওশাদের মামলার শুনানি ছিল। অন্যদিকে এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তার ডিভিশনে বেঞ্চে ভাঙড়ের বিধায়কের জামিনের শুনানিতে সেই মামলায় রাজ্য রিপোর্ট জমা করে। তবে এদিনও তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − fourteen =