প্রত্যাশিত ছিল। আর হলও তাই। শিবসেনার আসল মালিক একনাথ শিন্ডেই। মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার তথা বিজেপি বিধায়ক নারওয়েকর বুধবার বিকেলে জানিয়ে দিলেন, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীই আসল শিবসেনা। তাই উদ্ধব ঠাকরের কোনও আইনি ক্ষমতাই নেই শিন্ডে–সহ ১৬ বিধায়ককে বহিষ্কারের।
বিজেপির সাহায্য নিয়ে উদ্ধবকে ক্ষমতাচ্যুত করা শিন্ডে এবং তাঁর সঙ্গে প্রথম দফায় বিদ্রোহী আরও ১৫ জন শিবসেনা বিধায়কের সেই পদক্ষেপ ‘দলত্যাগ বিরোধী কার্যকলাপ’ ছিল কি না, গত ১১ মে সুপ্রিম কোর্ট তা বিবেচনার ভার দিয়েছিল মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকারকে। উদ্ধব শিবিরের অভিযোগ, সেই সিদ্ধান্ত নিতে ইচ্ছাকৃত ভাবে দেরি করছেন স্পিকার। এর পরে সুপ্রিম কোর্ট স্পিকার নারওয়েকরকে এ বিষয়ে ১০ জানুয়ারির মধ্যে রায় ঘোষণার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল।
২০২২ সালের জুলাইয়ে ভাঙন ধরেছিল বাল ঠাকরে প্রতিষ্ঠিত শিবসেনায়। দলের সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন একনাথ শিন্ডে। তাঁর সঙ্গে গিয়েছিলেন শিবসেনার ৩৯ জন বিধায়ক। বাকি ১৭ জন বিধায়ক দলের সুপ্রিমোর সঙ্গেই থেকে যান। দলত্যাগী বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজের দাবি জানিয়ে মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়েছিল উদ্ধব শিবির। এর পাল্টা উদ্ধব গোষ্ঠীর সঙ্গে থাকা বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজের অনুরোধ জানিয়ে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছিল শিন্ডে সেনাও।পরে শিন্ডে মুখ্যমন্ত্রী হন। সংখ্যাধিক্যের বলে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে দলের প্রতীক এবং সম্পদেরও দখল পান। তবে স্পিকার যদি উদ্ধবের পক্ষে রায় দিতেন তাহলে সব সমীকরণ বদলে যেত। কিন্তু মহারাষ্ট্রের স্পিকার এদিন বলে দিলেন, শিন্ডে শিবিরই আসল শিবসেনা।
স্পিকারের সিদ্ধান্তের ফল হল, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে আর কোনও বাধা রইল না একনাথ শিণ্ডের। অন্যদিকে লোকসভার আগে বড়সড় ধাক্কা খেয়ে গেল উদ্ধব শিবির। স্পিকারের সিদ্ধান্তের ফলে বাবার দলে কার্যত আর কোনও অধিকারই রইল না উদ্ধব ঠাকরের।