অবশেষে স্বস্তি পেলেন ফিফার প্রাক্তন সভাপতি শেপ ব্লাটার ও সংস্থার প্রাক্তন সহ-সভাপতি মিশেল প্লাতিনি। আর্থিক দুর্নীতির দায়ে এই দুই কর্তার বিরুদ্ধে মামলা চলছিল। শেষ পর্যন্ত তাঁদের ক্লিনচিট দিল সুইৎজারল্যান্ডের আদালত।
এই দুই কর্তারা বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে ভোট কিনে কাতারকে বিশ্বকাপ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এই অভিযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তদন্ত চলছিল। তদন্তের স্বার্থেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল প্লাতিনিকে। ফরাসি পুলিশের দুর্নীতিদমন শাখা তাঁকে নিজেদের হেফাজতেও রেখেছিল। ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ বেছে নেওয়ার জন্য ২০১০–এ ফিফা কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বৈঠকের বেশ কিছুদিন আগে ফিফা সভাপতি শেপ ব্লাটারের সঙ্গে প্লাতিনির ‘ভদ্রলোকের চুক্তি’ হয়েছিল যাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০২২ বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পায়। এমনকী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্তাদেরও প্লাতিনি কথা দিয়েছিলেন মার্কিনিদের পক্ষেই ভোট দেবেন। ২০১০–এর নভেম্বরে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজির বাড়িতে কাতারের রাজপুত্র তামিন বিন হামাদ আল–থানি, সারকোজির সঙ্গে বৈঠক করেন প্লাতিনি। এই বৈঠকের পরই মত বদল করেন তিনি। ২০১০–এর ডিসেম্বরে ২০২২ বিশ্বকাপ আয়োজক দেশ বেছে নেওয়ার জন্য যে বিড হয়েছিল, তাতে কাতারের সপক্ষে ভোট দেন প্লাতিনি। উয়েফার অধীনে থাকা অন্যান্য দেশকেও ভোট দিতে উদ্বু্দ্ধ করেছিলেন।
ব্লাটার এবং প্লাতিনির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ২০১১ সালে প্রায় ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৩ কোটি টাকা নয়ছয় করেছেন। সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন দু’জনেই। তাঁরা জানান, প্লাতিনির কিছু কাজের জন্য ফিফা দেরিতে পারিশ্রমিক দেয়। শুক্রবার ব্লাটার কোর্টে বলেন, “জীবনে অনেক অনৈতিক কাজ করেছি, কিন্তু এই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। আমি নির্দোষ।”
সুইৎজারল্যান্ডে ১১ দিন ধরে শুনানি চলছিল। ২২ জুন শুনানি শেষ হয়। রায় বেরল শুক্রবার।